কলকাতা : টেস্ট স্কোয়াডে সুযোগ মিলেছে। নিঃসন্দেহে একটা দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন অজিঙ্ক রাহানের। তবে এখানেই কাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে না। বরং অনেকেই তাঁকে দলে নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভারতীয় দল কি পেছনের দিকে হাঁটছে? অনেকে বলছেন, আইপিএলের পারফরম্য়ান্স দেখে দল বাছাই হচ্ছে, রঞ্জি ট্রফির কোনও গুরুত্ব নেই। আবার অনেকে রাহানে নয়, সূর্যকুমার যাদবের মতো মারকুটে ব্য়াটারকে টিমে চাইছিলেন। যাতে মিডল অর্ডারে দ্রুত কিছু রান তুলে দিতে পারেন। অজিঙ্ক রাহানের জন্য আসল পরীক্ষা যেন এখনই। তাঁর প্রতিপক্ষ তিনে নিজেই। সমস্ত সমালোচনা ভুল প্রমাণ করতে হলে আগে আইপিএলে ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করতে হবে। এরপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের একাদশে সুযোগ পেলে সেখানে পারফর্ম করতে হবে। সেই লড়াইটা যেন শুরু হচ্ছে আজ রাজস্থান রয়্যালস ম্য়াচ দিয়েই। কেন এমন বলা হচ্ছে? বিশ্লেষণ TV9Bangla Sports-এর।
২০২২ সালের শুরুতে কেপটাউনে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। গত বছর শ্রীলঙ্কা সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয় তাঁকে। ফেরাটা নিঃসন্দেহে কঠিন ছিল। শ্রেয়স আইয়ার ফিট থাকলে হয়তো এ বারও টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা হত না। রাহানের ব্য়াটে শেষ টেস্ট সেঞ্চুরি এসেছিল ২০২০ সালে মেলবোর্ন টেস্টে। সিরিজে পিছিয়ে ছিল ভারতীয় দল। সেখান থেকে অনবদ্য সিরিজ জয়। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ভারত। বিরাট কোহলি পিতৃত্বকালীন ছুটিতে দেশে ফেরায় বাকি তিন টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রাহানে। অধিনায়ক রাহানে পাশ করলেও ব্য়াটসম্য়ান রাহানে ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেননি।
মেলবোর্নের পর আরও ১৫টি টেস্ট খেলেছেন রাহানে। এর মধ্যে তিনটি অর্ধশতরানের ইনিংস মাত্র। বেশ কিছু ম্য়াচে ভালো শুরু করেও অর্ধশতরানের সামনে থেকে ফিরেছেন। তাঁর নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ায় মহাকাব্যিক সিরিজ জিতলেও এরপর থেকে ব্য়াটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সে কারণেই শ্রীলঙ্কা সিরিজের সেই বিশ্রাম থেকে আর জাতীয় দলে ফেরা হচ্ছিল না। চেতেশ্বর পূজারা কাউন্টি ক্রিকেট বেছে নিয়েছিলেন ফেরার লড়াই হিসেবে। রাহানে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছিলেন। রঞ্জি ট্রফিতে সাত ম্য়াচে ১১ ইনিংসে করেছিলেন ৬৩৪ রান। এর মধ্যে একটি ডাবল সেঞ্চুরিও রয়েছে। জাতীয় দলে কামব্য়াকের জন্য় সেটাও যথেষ্ঠ ছিল না। এ বারের আইপিএলে এখনও অবধি বিধ্বংসী ফর্মে। সেই ফর্ম ধরে রাখতে না পারলে তাঁর সিলেকশন নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠবে। এখন যেন রাহানে নিজেকেই বোলিং করবেন, ব্য়াটিংও করবেন রাহানে নিজেই। তিনি যে টেস্ট স্কোয়াডে ফেরার যোগ্য, তা প্রমাণ করতে হবে।