চেন্নাই : জায়ান্ট স্ক্রিনে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে যাত বার দেখাচ্ছে, গ্যালারির গর্জন বাড়ছে। যে মাঠেই খেলা হোক, মাহিকে নিয়ে উন্মাদনা থাকবে এমনটাই স্বাভাবিক। ওয়ার্ম আপ, টস শেষে মাহিকে মাঠে দেখার অপেক্ষা। তার জন্য় সময় প্রয়োজন ছিলই। চেন্নাই গ্য়ালারির প্রত্যাশা, ঘরের মাঠে শুরুটা ভালো হোক। কিন্তু অপেক্ষা যেন কমতেই চায় না। গত কয়েক বছর কোভিডের কারণে কখনও দেশের বাইরে, কখনও বা বিশেষ ভেনুতে আইপিএল হয়েছে। ঘরের মাঠে খেলা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন সমর্থকরা। চেন্নাই সুপার কিংস সমর্থকদের জন্যও এর অন্য়থা হয়নি। এ দিন ম্য়াচ শুরুর বহু আগে থেকেই গ্য়ালারি ভরিয়েছিলেন সমর্থকরা। চিপকের গ্য়ালারিতে হলুদ ঝড়। কিন্তু পাঁচ মিনিট দেরিতে শুরু হল ম্য়াচ। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
চেন্নাই সুপার কিংসের দুই ওপেনার তখন ক্রিজে। খেলা শুরুর অপেক্ষায় সকলেই। হঠাৎই মাঠে প্রবেশ একটি কুকুরের। মাঠকর্মীরা ব্য়স্ত হয়ে পড়েন তাকে বের করতে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে কুকুরটিকে মাঠ থেকে বের করা হয়। এর জন্য পাঁচ মিনিট দেরিতে শুরু হয় ম্য়াচ। ড্রেসিংরুমে বসে থাকা ধোনির মুখেও হাসি। এই ঘটনা অপেক্ষা বাড়ালেও সমর্থকরা বেশ মজাও পেলেন। মাঠকর্মীদের অবশ্য ঘাম ছুটল কুকুরটিকে মাঠ ছেকে বের করতে। খেলার মাঠে এমন ঘটনা নতুন নয়। তবে দীর্ঘ সময় পর চিপকে সিএসকে-র খেলা হওয়ায় মজাই হল এই ঘটনা নিয়ে। অপেক্ষা বাড়ল বলেই।
ম্যাচ শুরু হতেই অবশ্য স্বস্তিতে চেন্নাই সুপার কিংস গ্যালারি। দুই ওপেনার অনবদ্য শুরু করেন। গত ম্যাচে গুজরাটের কাছে সিএসকে হারলেও চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ৫০ বলে ৯২ রান করেছিলেন। যেখানে শেষ করেছিলেন, ঠিক যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন। দুর্দান্ত ব্যাটিং ঋতুরাজের। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের বিরক্ত বাড়ল। তেমনই লেগ সাইডে একটি ডেলিভারি বাউন্ডারি হওয়ায় আরও রেগে যান রাহুল। আম্পায়ারকে প্রশ্ন করেন, ওয়াইড কেন হবে! আম্পায়ারকে প্রথম চেক করার কথা বলেন রাহুল। মাঠের আম্পায়ার ব্রুস অক্সেনফোর্ড পরিষ্কার বুঝিয়ে দেন, তিনি কোনও শব্দ পাননি ব্য়াট কিংবা প্য়াডে লাগার। কিপার নিকোলাস পুরানের সম্মতি মিলতেই রিভিউ নেন রাহুল। যা দেখে রাহুলের উপর ক্ষুব্ধ লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর গৌতম গম্ভীর। রিপ্লে-তে পরিষ্কার ধরা পড়ে, ব্যাট-প্যাডে কোনও ছোঁয়া লাগেনি, শুরুতেই একটি রিভিউ নষ্ট হয় লখনউয়ের।