আমেদাবাদ: একটা সময় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে খেলেছেন দুই ভাই। হার্দিক বা ক্রুণাল পান্ডিয়া এখন আর মুম্বইয়ের সদস্য নন। দুই ভাই ছিটকে গিয়েছেন দুই দলে। আইপিএলে এর আগেও মুখোমুখি হয়েছেন দু’জন। তবে ক্যাপ্টেন হিসেবে এই প্রথম। রবিবারের দুপুরে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি গুজরাট টাইটান্স ও লখনউ সুপার জায়ান্টস। চোটের কারণ লোকেশ রাহুল ছিটকে যাওয়ায় লখনউয়ের নেতৃত্বভার এখন ক্রুণালের কাঁধে। ম্যাচে লখনউকে ব্যাটে বলে উড়িয়ে দিল গুজরাট টাইটান্স। ঋদ্ধিমান সাহা, শুভমন গিলের অনবদ্য ব্যাটিং। ৪ উইকেট মোহিত শর্মার। অর্ধশতরানের ইনিংস খেললেন কুইন্টন ডি’কক। তিনি ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভাঙল লখনউয়ের ব্যাটিং। ৫৬ রানের বড় ব্যবধানে জয় গুজরাট টাইটান্সের।
২২৮ রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানে আটকে গেল লখনউয়ের ইনিংস। ৫৬ রানে জয় গুজরাটের। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফে নিজেদের জায়গা প্রায় পাকা করে নিল গুজরাট।
বিনা খাতা খুলেই মোহিতের বলে ফিরলেন ক্রুণাল পান্ডিয়া। লখনউয়ের জয়ের সম্ভাবনা আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে।
১৮.৫ ওভারে মোহিত শর্মার বলে ফিরলেন আয়ুষ বাদোনি।
পঞ্চম উইকেট হারাল লখনউ। ৬ বলে ৩ রান করে আউট নিকোলাস পুরান। নূর আহমেদের খাতায় ১টি উইকেট।
বিধ্বংসী ডি’ককের উইকেট নিলেন রশিদ খান। ৪০ বলে ৭১ রান ডি’ককের। ১৬ ওভারে ১৪০-৪ লখনউ।
১৫ ওভারে লখনউয়ের স্কোর ১৩০-৩।
৩১ বলে ৫০ রান কুইন্টন ডি ককের। ৮ ম্যাচ পর মাঠে নামার সুযোগ পেলেন। মরসুমের প্রথম আইপিএল ম্যাচেই হাফ সেঞ্চুরি প্রোটিয়া কিপার ব্যাটারের।
১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান লখনউ সুপার জায়ান্টসের।
৮.২ ওভারে প্রথম সাফল্য পেল গুজরাট। জুটি ভাঙলেন মোহিত শর্মা। কাইল মায়ার্সের অসাধারণ ক্যাচ নিলেন রশিদ খান। ৩২ বলে ৪৮ রান মায়ার্সের। লখনউয়ের স্কোর ৮.২ ওভার শেষে ৮৮-১।
পাওয়ার প্লেতে গুজরাটের স্কোর ছিল ৭৪। লখনউ তুলল বিনা উইকেট খুইয়ে ৭২ রান। কাইল মায়ার্স ও কুইন্টন ডি ককের অনবদ্য ব্যাটিং।
৪ ওভারে ৫০ রান লখনউয়ের। রান তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু ওপেনিং জুটি মায়ার্স-ডি ককের।
২২৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নামল লখনউ সুপার জায়ান্টস। ওপেনিংয়ে কাইল মায়ার্সের সঙ্গে কুইন্টন ডি কক। বল হাতে মহম্মদ সামি।
১. টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং লখনউ সুপার জায়ান্টসের।
২. সুপার জায়ান্টসের বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করলেন ঋদ্ধিমান সাহা, শুভমন গিলরা
৩. ৪৩ বলে ৮১ রানের ইনিংস ঋদ্ধিমান সাহার
৪. পাওয়ার প্লেতে গুজরাট টাইটান্সের সর্বাধিক ৭৮ রান
৫. শুভমন গিলের ৫১ বলে অপরাজিত ৯৪ রান
৬. ছয় রানের জন্য শতরান হল না
৭. ২০ ওভারে গুজরাটের স্কোরবোর্ডে উঠল ২২৭-২ রান
৮. জয়ের জন্য ২২৮ রান তুলতে হবে লখনউকে
২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান গুজরাট টাইটান্সের। ৫১ বলে অপরাজিত ৯৪ রানের অনবদ্য ইনিংস শুভমন গিলের। মাত্র ছয় রানের জন্য সেঞ্চুরি হল না। ইনিংসে ২টি চার ও সাতটি ছয়। মোদী স্টেডিয়ামের দর্শকদের হতাশা।
২০০-র ঘরে পৌঁছল গুজরাট টাইটান্সের স্কোর। ক্রিজে শুভমন গিল ও ডেভিড মিলার। ৮২ রানে ব্যাট করছেন গিল।
হার্দিকের ক্যাচ ক্রুণালের হাতে। মহসীন খানের বলে ১৩ বলে ২৫ রান করে ফিরলেন হার্দিক। গুজরাটের স্কোর ১৬ ওভার শেষে ১৮৪/২।
৪৩ বলে ৮১ রান। সেঞ্চুরি হল না। আবেশ খানের বলে ফিরলেন ঋদ্ধিমান সাহা। বাউন্ডারি লাইনে প্রেরক মানকডের অনবদ্য ক্যাচ। নতুন ব্যাটার হার্দিক পান্ডিয়া।
শুভমন গিলের অর্ধশতরান। ২৯ বলে ৫০ রানে পৌঁছলেন। ঋদ্ধি-শুভমনের জুটি ভাঙার উপায় খুঁজে পাচ্ছেন না ক্রুণাল পান্ডিয়ারা।
১০ ওভারে গুজরাট টাইটান্সের স্কোর বিনা উইকেট খুইয়ে ১২১ রান। ৭৪ রানে ঋদ্ধি ও ৪৩ রানে ব্যাট করছেন শুভমন। উইকেটের খোঁজে লখনউ সুপার জায়ান্টস।
১০০ রান অতিক্রম করে গেল গুজরাট টাইটান্স। ঋদ্ধিমান সাহার পাশাপাশি হাত খুলছেন শুভমন গিলও। গুজরাটের ওপেনিং জুটিতে নাস্তানাবুদ লখনউ বোলাররা।
৬ ওভারে গুজরাট টাইটান্সের স্কোরবোর্ডে উঠল বিনা উইকেট খুইয়ে ৭৮ রান। বেশিরভাগ অবদান ঋদ্ধিমান সাহার। আইপিএলে এটাই গুজরাট টাইটান্সের সর্বাধিক পাওয়ার প্লে স্কোর। ঘরের মাঠে বড় স্কোর গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে গুজরাট।
ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই যশ ঠাকুরকে ছক্কা হাঁকিয়ে অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন ঋদ্ধিমান। ২০ বলে ৫০ রান ঋদ্ধির। ৪ টি ছয় ও ছয়টি চার। আইপিএলে নিজের দ্রুততম অর্ধশতরান ঋদ্ধির।
মোদী স্টেডিয়ামে ব্যাটে ঝড় তুলেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। লখনউয়ের বোলারদের পিটিয়ে ছাতু করছেন। ৪ ওভারে ৫০ রান অতিক্রম করলে গেল গুজরাট। নেপথ্যে ঋদ্ধির বিধ্বংসী ব্যাটিং।
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে শুরু দুই ভাইয়ের লড়াই। গুজরাটের ওপেনিংয়ে ঋদ্ধিমান সাহা ও শুভমন গিল। বল হাতে মহসীন খান।
ঋদ্ধিমান সাহা, শুভমন গিল, হার্দিক পান্ডিয়া, বিজয় শঙ্কর, ডেভিড মিলার, অভিনব মনোহর, রাহুল তেওয়াটিয়া, রশিদ খান, মোহিত শর্মা, নূর আহমেদ, মহম্মদ সামি
সাবস্টিটিউট: আলজারি জোসেফ, দাসুন শনাকা, কেএস ভরত, শিবম মাভি, জয়ন্ত যাদব।
লখনউয়ের একাদশ থেকে বাদ পড়লেন নবীন উল হক। একাদশে কুইন্টন ডি কক। চলতি মরসুমে এই প্রথম মাঠে নামছেন ডি কক।
কুইন্টন ডি’কক, কাইল মায়ার্স, দীপক হুডা, নিকোলাস পুরান, ক্রুণাল পান্ডিয়া, মার্কাস স্টইনিস, স্বপ্নিল সিং, যশ ঠাকুর, রবি বিষ্ণোই, মহসীন খান, আবেশ খান
সাবস্টিটিউট: আয়ুষ বাদোনি, অমিত মিশ্র, ড্যানিয়েল সামস, যুধবীর সিং, প্রেরক মানকাড
ঘরের মাঠে টস হারলেন হার্দিক পান্ডিয়া। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত লখনউ সুপার জায়ান্টসের।
গুজরাট টাইটান্স দারুণ ছন্দে। বোলিং বিভাগে মহম্মদ সামি, রশিদ খান, নুর আহমেদ, মোহিত শর্মা-প্রত্য়েকেই দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন। অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া নিজেও ছন্দে। শুভমন গিল এবং ঋদ্ধিমান সাহার ওপেনিং জুটি প্রতি ম্যাচেই গুজরাটের ভরসা।
আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম বার অধিনায়ক হিসেবে দুই ভাইয়ের লড়াই। এই ম্য়াচে বিশেষ আকর্ষণ এটাই।