বাংলা তাঁর কদর বোঝেনি। দেশের অন্যতম সেরা উইকেটকিপার ব্যাটারকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। সিএবি-র এক কর্তাকে ‘ধরে’ রাখতে বাংলার গর্বকেই হাতছাড়া করেছে। ‘অপমানিত’ ঋদ্ধি বাংলা ছেড়েছিলেন রাগে, দুঃখে। ত্রিপুরার হয়ে রাজ্য ক্রিকেটে খেলেন। এখনই ২২ গজ ছেড়ে দেওয়ার ভাবনা নেই আটত্রিশের পাপালির মনে। তাই লড়াই চালিয়ে যান নিঃশব্দে। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ভারতীয় দলের দরজাও বন্ধ হয়ে যায়। ঋদ্ধির বিকল্প কিপার খুঁজে না পাওয়া গেলেও, জাতীয় দল থেকে রাতারাতি সরিয়ে দেওয়া হয় বঙ্গ কিপারকে। কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের ‘না পসন্দ’ ঋদ্ধি আরও অনেক জায়গাতেই ব্রাত্য থেকেছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স কোনও দিনই পাপালির কদর বোঝেনি। গত বছর আইপিএল নিলামে তো একটা সময় অবিক্রিত ছিলেন ঋদ্ধিমান। গুজরাট শেষ মুহূর্তে তাঁকে দলে নেয়। সেই মান রাখেন বঙ্গ কিপার। গত বার শুরু থেকে এগারো জনের দলে ঠাঁই না পেলেও, সুযোগ পেয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছিলেন। আমেদাবাদে রিজার্ভ ডে-তে ফাইনালে ৩৬ বলে হাফসেঞ্চুরিতে ঋদ্ধিমান সাহা। বিস্তারিত TV9Bangla Sports-এ।
এ বারের আইপিএলেও গুজরাট টাইটান্সের জার্সিতে নীরবে নিজেকে প্রমাণ করে গিয়েছেন ঋদ্ধিমান। দেশের হয়ে একটা টি-টোয়েন্টিও খেলার সুযোগ হয়নি আটত্রিশের ঋদ্ধির। অথচ কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে দুরন্ত ইনিংস রয়েছে তাঁর। এর আগে তো আইপিএল ফাইনাল সেঞ্চুরিও করেছেন ঋদ্ধি। এ বারের আইপিএলেও বেশ কয়েকটা ম্যাচে দুরন্ত ব্যাটিং করেন পাপালি। একটা ম্যাচে তো ৮১ রান করেন। আমেদাবাদে হাইভোল্টেজ ফাইনালেও জ্বলে উঠলেন ঋদ্ধিমান।
৯ বছর আগে আইপিএল ফাইনালে পঞ্জাব কিংসের হয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ৫৫ বলে ১১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। সেই ইনিংস এখনও ফিকে হয়ে যায়নি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়েও খেতাব জয়ের সাক্ষী থেকেছেন। গতবছর গুজরাটের হয়ে জিতেছেন ট্রফি। এ বারও চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে মেগা ফাইনালে ঋদ্ধির ব্যাট থেকে এল দুরন্ত অর্ধশতরান। পরিস্থিতি বদলায়, মুখ বদলায়, ঋদ্ধিমান থেকে যান। অনেকটা মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো।