মুম্বই : গত মরসুম খুবই হতাশার কেটেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। দশ দলের লিগে সবার শেষে ছিল রোহিত শর্মার দল। মরসুমের শুরুতে হার্দিক পান্ডিয়ার মতো অলরাউন্ডারের দল ছাড়া বড় ধাক্কা ছিল মুম্বইয়ের কাছে। হার্দিক আইপিএলে অভিষেক করা গুজরাট টাইটান্সের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। প্রথম বছরই চ্যাম্পিয়ন হয় টাইটান্স। মুম্বই একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছিল গত মরসুমে। টুর্নামেন্টে ভালো ফল না করলেও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তুলে আনার চেষ্টা করেছিল মুম্বই। তাদের মধ্যে একজন তিলক ভার্মা। গত বার ছিলেন উঠতি প্রতিভা। এ বার প্রথম ম্য়াচে মুম্বইয়ের ভরাডুবির মাঝে মান রেখেছিলেন তিলক ভার্মা। শেষ অবধি মুম্বই জয়ের ‘তিলক’ না পড়তে পারলেও, মিডল অর্ডারে ভরসা দিয়েছেন। সঙ্গে আশাও দেখাচ্ছেন, ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন তারার জন্ম হল যেন। কে এই তিলক ভার্মা? কীভাবেই বা তাঁর উত্থান! বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
আরসিবির কাছে ৮ উইকেটে হারলেও তিলক ভার্মার ৪৬ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস নজর কেড়েছে। ৯টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারি মারেন তিলক। তাঁর উত্থান আর দশটা তরুণ ক্রিকেটারকে প্রেরণা জোগাবে। তিলক ভার্মার বাবা ইলেক্ট্রিশিয়ানের কাজ করেন। উপার্জন কম হলেও ছেলের জন্য বড় স্বপ্ন দেখেন। ছেলে তিলকও চেষ্টায় খামতি রাখেননি। যদিও মাঝে অনেক সমস্যার জেরে ক্রমশ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন তিলক ভার্মা। তাঁর কোচ সালাম বায়াশ পাশে দাঁড়ান। ক্রিকেটের সমস্ত খরচ বহন করেন তিলকের কোচ। এখান থেকে পিছন ফিরে তাকানোর সুযোগ ছিল না তিলকের সামনে। কোচের ভরসার মর্যাদা রাখতে হত, বাবার স্বপ্ন পূরণও। পরিশ্রমের সুফল পাচ্ছেন তিলক।
আইপিএলে গত বারও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলেছেন তিলক ভার্মা। ১.৭ কোটি টাকায় তাঁকে নিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। অকশনে তাঁর বেস প্রাইস ছিল মাত্র ২০ লাখ টাকা। সেখান থেকে ১.৭ কোটি। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করায় তাঁর ওপর ভরসা করেছিল মুম্বই টিম ম্যানেজমেন্ট। তাই টাকার অঙ্ক নিয়ে ভাবেনি। অন্য়ান্য়রাও তিলককে নিতে ঝাঁপালেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই বাজিমাত করে। প্রথম মরসুমেই নজর কেড়েছিলেন। দলের ভরাডুবির মাঝেও ১৪ ম্যাচে প্রায় ১৮৫ স্ট্রাইকরেটে ৩৯৭ রান করেছিলেন তিলক ভার্মা। এ বারও শুরুটা দুর্দান্ত করেছেন। ধারাবাহিকতা দেখাতে পারলে, ভারতীয় দলের রাডারেও ঢুকে পড়তে পারেন তিলক।