লখনউ : অভিষেক আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হতে না পারলেও নজর কেড়েছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। এ বার পারফরম্য়ান্সে উন্নতিই লক্ষ্য় থাকবে। তাদের সাফল্য়ের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোই। প্রথম বার আইপিএল খেলছেন তা নয়। অভিজ্ঞতা একটু একটু বাড়ছে। সঙ্গে দক্ষতাও। রবি বিষ্ণোই প্রথম নজর কেড়েছিলেন ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে। পারফরম্য়ান্সের চেয়েও ফাইনালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্লেজিংয়ে হইচই পড়েছিল। দু-দলের ক্রিকেটারদের মধ্য়ে হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হারে ভারত। তাতেই কি মেজাজ হারানো? এমন অনেক বিষয়েই জানালেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের লেগ স্পিনার রবি বিষ্ণোই। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ, আইপিএলে খেলার সফরটা একে বারেই সহজ ছিল না। আরও অনেকের মতোই লড়াই করে এই জায়গায় পৌঁছতে হয়েছে। বোর্ড এক্সামও মিস করেছেন স্রেফ নেট বোলার থাকার সময়! সেই প্রসঙ্গই সামনে আনলেন রবি বিষ্ণোই। লখনউ সুপার জায়ান্টসের পডকাস্টে বলেন, ‘আমি তখন রাজস্থান রয়্য়ালসে নেট বোলার। ক্লাস টুয়েলভের বোর্ড পরীক্ষা ছিল। বাবা ফোন করে জানায়-বাড়ি ফিরে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য়। কোচ বলেন, আমাকে দলের সঙ্গে থাকতে। সে সময় দলের সঙ্গে থাকাটাই প্রাধান্য় দিই। সে বার পরীক্ষা দিইনি। পরের বছর পরীক্ষা দিই এবং পাশও করি।’
রবি বিষ্ণোইয়ের বাবা স্কুলশিক্ষক। ফলে পড়াশোনার চেয়ে ক্রিকেটকে প্রাধান্য় দেওয়া রবির পক্ষে খুবই কঠিন ছিল। ২২ বছরের এই ক্রিকেটার বলছেন, ‘ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হই ১০ বছরে। ৫ বছর পরই ক্রিকেটকে প্রাধান্য় দিতে পড়শোনা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ক্রিকেটের জন্য় সময় বের করতে সমস্য়া হচ্ছিল। পরিবারকে এই বিষয়টা বোঝানো খুবই কঠিন ছিল।’ পড়াশোনা যে পুরোপুরি ছাড়তে পারেননি সেকথাও জানালেন রবি।
ভারতের এই লেগস্পিনারের কেরিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেট শিকারি ছিলেন রবি। যদিও বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ভারত। ফাইনালে বাংলাদেশের কাছে হার। বাংলাদেশি ব্য়াটারদের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য় বিনিময়ও হয় রবির। সেই প্রসঙ্গ উঠে এল। রবির কথায়, ‘ফাইনালে আমাদের ব্য়াটারদের নিয়মিত স্লেজিং করছিল বাংলাদেশ। একটা সময় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আমরাও পাল্টা দিতে শুরু করি। ম্য়াচ জিতে ওরা আরও বেশি বিদ্রুপ করতে থাকে। আমিও অনেক কিছু বলি সে সময়। যদিও সেগুলো নিয়ে মোটেই গর্বিত নই। সেই ফাইনালের পর আর কোনও দিন স্লেজিং করিনি।’