ক্রিকেট খেলে কী হবে? দেশের অনেক তরুণকেই হয়তো এ কথা শুনতে হয়। কেনই বা হবে না! এত জনসংখ্যা। তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকশো জনই বড় মঞ্চে খেলার সুযোগ পান। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপেও খেলেন অনেকে। তাঁদের মধ্যেও হাতে গোনা কয়েক জন পরবর্তীতে সিনিয়র দলে খেলার সুযোগ পান। বেশির ভাগই হারিয়ে যান। তবে কে বড় হয়ে সুপার স্টার হবেন সেটা তো আর আগে থেকে বলা যায় না! ভরসা পেলে, সকলের সহযোগিতা, আত্মবিশ্বাস পেলে এগনোর সাহস আসে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভরসা জোগানোর চেয়ে হতাশার মন্তব্যই উড়ে আসে। ভারতীয় ক্রিকেটই শুধু নয়, বিশ্ব ক্রিকেটেও যাঁকে পরবর্তী তারকা মনে করা হচ্ছে, সেই শুভমন গিলকেও এমনটা শুনতে হয়েছে। শৈশবে যে ক্রিকেটের কারণে নানা বিদ্রুপ শুনতে হয়েছিল, সেই ক্রিকেটই পরিচিতি তৈরি করেছে শুভমনের। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
শৈশবে স্কুলের সহপাঠিরা অনেকেই তাঁকে বলতেন, পড়শোনায় মন দিতে। ক্রিকেট খেলে বেশিদূর এগনো সম্ভব নয়। জাতীয় স্তরে খুব বেশি হলে ২৫০ জন খেলবে! তাহলে শুভমন কী করে সুযোগ পাবে? বন্ধুদের উৎকণ্ঠাও এড়িয়ে যাওয়ার মতো নয়। তবে শুভমনের লক্ষ্য ছিল বড়। ফোকাস ছিল ক্রিকেটেই। যে কারণে স্কুল কামাই প্রচুর হত তাঁর। বন্ধুদের কথায় কান না দিয়ে নিজের লক্ষ্যে স্থির থেকেছেন। দেশের হয়ে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেছেন। এ বছর যেন নতুন জন্ম দিয়েছে শুভমনের। টেস্ট সেঞ্চুরি, ওডিআই-তে ডাবল সেঞ্চুরি, টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি! আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দাপট দেখানোর পাশাপাশি আইপিএলেও নায়ক হয়ে উঠেছেন। এ বারের আইপিএলে তিনটি শতরান সহ তাঁর ব্য়াটে ৯০০-এর বেশি রান।
ক্রিকেটের জন্য স্কুলে অবশ্য ব্য়পক সমস্যায় পড়তে হত। শুভমন গিল একটি টক শো-তে জানিয়েছেন, ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় স্কুলে তাঁর উপস্থিতি ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ। শুভমনের বাবা লখবিন্দর সিং অবশ্য ছেলের স্বপ্নে বাধা দেননি। বরং স্কুলে কথা বলে হাফডের ব্য়বস্থা করেছিলেন। যাতে শুভমন ভালো ভাবে প্র্র্যাক্টিস করতে পারেন। গিল জানিয়েছেন, ৭৫-২৫ ফর্মূলার কথা। কী সেই ফর্মূলা? শুভমন জানিয়েছেন, তাঁর ৭৫ শতাংশ ফোকাস থাকত ক্রিকেটে, বাকি ২৫ শতাংশ পড়শোনায়। গুজরাট টাইটান্সের ওপেনার এ বারের আইপিএলে স্বপ্নের ফর্মে ছিলেন। অল্পের জন্য টানা দ্বিতীয় বার ট্রফি জেতা হল না টাইটান্সের। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক মরসুমে দ্বিতীয় সর্বাধিক রানের রেকর্ড গড়েছেন শুভমন গিল।