দীপঙ্কর ঘোষাল : ক্রিকেটপ্রেমীরা যে মুহূর্ত বারবার দেখতে চান। এ দিন বিশেষ করে চাইছিলেন আরসিবি সমর্থকরা। প্লে-অফে যেতে জয় ছাড়া উপায় নেই। এর জন্য বোর্ডে চাই বড় রান। এ মরসুমে আরসিবির তিন ধারাবাহিক ব্যাটার ফাফ ডুপ্লেসি, বিরাট কোহলি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ডুপ্লেসির শুরুটা ভালো হলেও বড় ইনিংস এল না। তেমনই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড় তুলে শুরু করলেও দীর্ঘস্থায়ী হল না। এক দিক থেকে ভরসা দিলেন বিরাট কোহলি। ৩৫ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন বিরাট কোহলি। গত ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন বিরাট। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির নিরিখে ছুঁয়েছিলেন ক্রিস গেইলকে। দু-জনেরই আধডজন করে সেঞ্চুরি। তবে গেইলকে ছাপিয়ে গেলেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শতরান মাস্টার বিরাট কোহলির। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সাতটি সেঞ্চুরির রেকর্ড বিরাট কোহলির। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আইপিএলে টানা দু-ম্যাচে শতরানের রেকর্ড ছিল শিখর ধাওয়ান এবং জস বাটলারের। এ বার বিরাট সেই তালিকায় নাম লেখালেন। বিরাটের ৬১ বলে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৯৭ স্কোর অবধি পৌঁছয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ইনিংস বিরতিতে বিরাট কোহলি বলেন, ‘আমার মনে হয় এই স্কোর যথেষ্ঠ। কেন না, পাওয়ার প্লে-র পর রান তুলতে সমস্যা হচ্ছিল।’ ১৩টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারি মারেন বিরাট কোহলি।
বিরাটের স্ট্রাইকরেট নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে। টানা দু-ম্যাচে সেঞ্চুরি করে যেন অনেক প্রশ্নের জবাব দিলেন। গত ম্যাচে কোনও ফ্যান্সি শট খেলার দিকে নজর দেননি বিরাট কোহলি। কারণ হিসেবে জানিয়েছিলেন, আইপিএলের পর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের কথা। টেকনিকেই জোর দিতে চেয়েছিলেন। এ দিনও তেমনই একটা ইনিংস। বিরাট আরও বলেন, ‘এটুকু বলতে পারি, ক্রিকেটটা উপভোগ করছি। আমার কাছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেও পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করাটাই আসল। স্ট্রাইক রেট নিয়ে মাথা ঘামাই না। কোনও দিনই ভাবিনি। লক্ষ্য ছিল গ্যাপ খোঁজা এবং সেই অনুযায়ী প্লেসমেন্ট করা।’