তিনি নাকি ঘরকুনো। বাড়ি থেকে যাতে বেরোতে না হয়, তার জন্য সব কিছুই মজুদ রেখেছেন। সেই তালিকাও নেহাত ছোট নয়। তা হলেও, তিনি ঘরকুনো, কেউ বিশ্বাসই করতে চাইবেন না হয়তো। নিজের সম্পর্কে এমনই একগুচ্ছ অজানা গল্প তুলে ধরলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সামনে আইপিএল। তার জন্য চুটিয়ে ট্রেনিং করছেন। মাঠেও ফিরেছেন। চারমাস পর সোমবারই খেলেছেন প্রথম ম্যাচ। আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে সাফল্য দিতেও তৈরি। তারই মাঝে হার্দিক যেন নিজের জীবনের খোলা খাতা মেলে ধরলেন। কী বললেন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এক নামী ইউটিউবারকে হার্দিক শোনালেন এক আশ্চর্য গল্প। বললেন, ‘আমি বাড়ির বাইরে খুব বেশি যাই না। আমাকে ঘরকুনো বলতে পারো। গেলেও বন্ধুদের বাড়িতে যাই। একবার ৫০দিন টানা বাড়ি থেকে বেরোইনি। বলতে পারো, বেরনোর দরকারই পড়েনি। বাড়িতে জিম আছে, হোম থিয়েটার আছে। আমি পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই ভালোবাসি। যার দরকার পড়ে, বন্ধু থেকে শুরু করে অন্য লোকজন, সবাই বাড়িতে চলে আসে। কাজ মিটিয়ে নিই।’
ট্যাটুর প্রতি তাঁর ঝোঁক নতুন নয়। ২০১৬ সালে প্রথম ট্যাটু বানিয়েছিলেন হার্দিক। এখন পুরো শরীর জুড়েই রয়েছে নানান চিত্র। যার এক-একটা মানে এক-এক রকম। হার্দিক বললেন, ‘বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ম্যাচের দু’দিন আগে বানিয়েছিলাম বাঁ হাতের ট্যাটুটা। এটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৬ সালে প্রথমবার ট্যাটু করাই। কাঁধে আমার আর ছেলে অগস্ত্যর ছবি দিয়ে ট্যাটু করিয়েছি। ওটাও খুব প্রিয়।’
আইপিএল ঘিরেও এক মজার গল্প তুলে ধরলেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়েই আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল হার্দিকের। ভারতের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বলে দিলেন, ‘প্রথমবার যখন আইপিএলে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হই, ভেবেছিলাম পুরো টাকাটাই আমার। তখন মুম্বইয়ের সঙ্গে আমার ১০ লক্ষ টাকার চুক্তি ছিল। ওই টাকাটা তার মানে বাড়তি। খুব খুশি হয়েছিলাম। পরে জানতে পারি, পুরো টাকাটা টিমে ভাগাভাগি হয়ে যায়। খুব দুঃখ পেয়েছিলাম।’
পাহাড় নয়, বিচ পছন্দ করেন। হলিউডের সিনেমার পোকা। খুব গান শোনেন। পছন্দ বব মার্লি। হার্দিক বললেন, ‘অনেক কিছুই শুনি। আসলে মিউজিক টেস্ট সময় সময় বদলাতে থাকে।’ প্রশ্ন এল, অতীতের এমন কোনও বোলার আছে, যাঁকে তুমি খেলতে চাও? সরল স্বীকারোক্তি হার্দিকের, ‘না-না কাউকে না। অতীতে শোয়েব আখতার, শেন ওয়ার্নের মতো ভয়ঙ্কর বোলাররা রয়েছে। চাই না এদের মুখে নামতে। তা হলে আমাকে অনেক খাটতে হবে। স্কিল বাড়াতে হবে।’