আইপিএল টু আইপিএল। নতুন প্রজন্মের মধ্যে যেন এই বিষয়টা গেঁথে গিয়েছে। এক বার আইপিএলে টিম পেলে, তিন মাসের টুর্নামেন্ট খেলে কোটিপতিও হওয়া যেতে পারে। আর একটু সাফল্য পেলে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে দেখা যায় না অনেককেই। খেললেও শুধুমাত্র সাদা বলের ক্রিকেটে খেলে থাকেন। লাল-বলে মাল্টি ডে ক্রিকেটে তরুণ প্রজন্মের অনীহা বোর্ডের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর হাতে গরম উদাহরণ ঈশান কিষাণ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টেস্ট সিরিজের আগে হঠাৎই ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ঈশান। মনে করা হয়েছিল, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে পাওয়া যাবে। কোচ রাহুল দ্রাবিড় পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন, যখন ও ক্রিকেট খেলার জন্য তৈরি থাকবে, ঘরোয়া ক্রিকেট খেললেই দলে ফেরানো হবে। বোর্ডের তরফে ঈশান কিষাণকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, রঞ্জি ট্রফি খেলার জন্য। বারবার বোর্ডের নির্দেশ অমান্য করেন। একটি ম্যাচেও খেলেননি।
শ্রেয়স আইয়ার ফিট থাকলেও রঞ্জি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেননি। চোটের অজুহাত দিয়েছিলেন। বোর্ড এমন এক নিয়ম চালুর ভাবনায়, আইপিএল খেলতে হলেও প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট খেলা বাধ্যতামূলক হতে পারে। শ্রেয়স আইয়ার রঞ্জি সেমিফাইনালে খেলবেন। ঈশান কিষাণ ডিওয়াই পাটিল টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন। রাঁচি টেস্ট জয়ের পর অধিনায়ক রোহিত শর্মা মন্তব্য করেন, যাঁদের খিদে রয়েছে, তাঁদের নিয়েই ভাবা হবে।
রোহিতের এই মন্তব্য সমর্থন করেছেন সুনীল গাভাসকরের মতো কিংবদন্তি। তেমনই বিভিন্ন রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা মনে করছে, বোর্ড কড়া সিদ্ধান্ত নিলে পরিস্থিতি বদলাবে। জৌলুস হারাবে না রঞ্জি ট্রফির মতো টুর্নামেন্ট। জাতীয় দলে দক্ষ ক্রিকেটারদের সাপ্লাই লাইন রঞ্জি ট্রফি। সেই টুর্নামেন্টে খেলার বিষয়েই যদি অনীহা থাকে, জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ ইতিবাচক নয়। সে কারণে বেশ কিছু রাজ্য সংস্থার মতে, বোর্ডই পারে ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ বাঁচাতে।