দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম ‘কিলা’। এ মরসুমে এই মাঠে তিনটি হোম ম্যাচ খেলেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচটি হারলেও গত দু-ম্যাচেই জিতেছেন ঋষভ পন্থরা। আইপিএলের সব কটি ভেনুর মধ্যে দিল্লির মাঠকে ব্যাটিং প্যারাডাইস বলা যায়। এ বারের আইপিএলে এই মাঠে প্রথম ইনিংস গড় স্কোর ২৪৯! সার্বিক ভাবে রান রেট ১১.৩৮! ঘরের মাঠে গত দু-ম্যাচে দিল্লির জয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছেন তরুণ ওপেনার জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুক।
টানা পাঁচ সপ্তাহ পয়েন্ট টেবলে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল রাজস্থান রয়্যালস। নিজেদের শেষ ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে মাত্র ১ রানে হার এবং কলকাতা নাইট রাইডার্সের পরপর দুটি জয়ে সিংহাসনচ্যুত হয়েছে রয়্যালস। আপাতত শীর্ষে কেকেআর। আজ দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারাতে পারলে একদিকে যেমন শীর্ষে ফিরবে রাজস্থান, তেমনই প্লে-অফও নিশ্চিত হয়ে যাবে। এর জন্য ভরসা রাজস্থান রয়্যালসের বোলিং আক্রমণ।
দিল্লি ওপেনারদের বিধ্বংসী পারফরম্যান্সের। এই মাঠে দিল্লি ওপেনিং জুটি ৫৭.৩৩ গড় এবং ২৯২ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছে। যার ফলে ত্রিস্তান স্টাবস, ঋষভ পন্থ, অক্ষর প্যাটেলরা ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পারছেন। তবে রাজস্থান রয়্যালসের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হতে পারে দিল্লি ওপেনারদেরও। রাজস্থান রয়্যালস এ মরসুমে মাত্র দুটো ম্যাচেই হেরেছে। একটি ঘরের মাঠে। শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে জিতেছিল গুজরাট টাইটান্স। অন্য ম্যাচে সানরাইজার্সের কাছে শেষ বলে মাত্র ১ রানে হার।
রাজস্থান পেসারদের ইকোনমি মাত্র ৮.২২। সব দলের মধ্যে সেরা। নতুন বলে সেরা বোলিং আক্রমণ। পাওয়ার প্লে-তে গড়ে তিন উইকেট নিয়েছে রাজস্থান। তাদের স্পিন আক্রমণে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, যুজবেন্দ্র চাহালের মতো দুই অভিজ্ঞ বোলার রয়েছেন। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি উইকেটের রেকর্ড লেগ স্পিনার চাহালের দখলেই।
রাজস্থানের দুর্বল জায়গা লোয়ার-মিডল অর্ডার। টপ অর্ডারের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জেরে সেই অর্থে পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়নি। প্রয়োজনের সময় লোয়ার অর্ডার ভরসা দিতে পারেনি। ব্যাটিং পিচে নজরে রাজস্থানের ‘শক্তিশালী’ বোলিং আক্রমণ এবং ‘দুর্বল’ লোয়ার অর্ডার।