ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবলে শীর্ষস্থান অক্ষত রাজস্থান রয়্যালসের। এ মরসুমে তারা একটি মাত্রই ম্যাচ হেরেছে। টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছিল জয় দিয়েই। আর এ বার তাদের প্রথম ম্যাচ ছিল রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধেই। দু-দলেরই সেটা ছিল মরসুমের প্রথম ম্যাচ। জয়পুর রাজস্থানের কাছে ‘জয়’পুর হয়ে উঠেছিল। টুর্নামেন্ট অনেকটা এগিয়েছে। রাজস্থান ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। লখনউ সেই অর্থে ধারাবাহিক না হলেও গত দু-ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে।
মরসুমের প্রথম ম্যাচে রাজস্থানের বিরুদ্ধে হারের পর ঘরের মাঠে জয়ে ফিরেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। আর সেই ম্যাচে বড় চমক অপেক্ষা করছিল ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের জন্য। মায়াঙ্ক যাদব। রাজধানী এক্সপ্রেস নামেই পরিচিত এই তরুণ পেসার। প্রথম দু-ম্যাচে যথাক্রমে ২৭ ও ১৪ রান দিয়ে তিনটি করে উইকেট। টানা ম্যাচের সেরার পুরস্কার। যদিও তৃতীয় ম্যাচেই হতাশা। মাত্র এক ওভার বোলিং করেই মাঠ ছেড়েছিলেন মায়াঙ্ক। আজ সেই এক্সপ্রেস গতির পেসারের প্রত্যাবর্তন হতে পারে।
গত দু-ম্যাচেই জিতেছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারানোর পর একই টিমের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচেও রুদ্ধশ্বাস জয়। চিপকে ব্যাটিং অর্ডারে প্রোমোশন দেওয়া হয়েছিল মার্কাস স্টইনিসকে। অবিশ্বাস্য ইনিংসে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে কার্যত একার হাতেই জিতিয়েছিলেন স্টইনিস। ঘরের মাঠে স্টইনিসকে একই রূপে দেখা গেলে! লখনউ শিবির অপেক্ষায় রয়েছে মায়াঙ্কের প্রত্যাবর্তনের।
চিপকে চেন্নাই ম্যাচের আগে লখনউয়ের বোলিং কোচ বলেছিলেন, মায়াঙ্ক অনেকটাই ফিট। রাজস্থানের বিরুদ্ধে তিনি ফিরতে পারেন, এমন আশার কথা শুনিয়েছিলেন। রাজস্থান ম্যাচের আগে লখনউয়ের সহকারী কোচ শ্রীধরন শ্রীরামও জানিয়েছেন, মায়াঙ্ক প্রস্তুত। এই ম্যাচেই তাঁকে খেলানোর ঝুঁকি নেওয়া হবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। তবে তুরুপের তাস হয়ে উঠতেই পারেন।
রাজস্থান রয়্যালস বিধ্বংসী ফর্মে। গত ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হেলায় হারিয়েছে। পুরো টুর্নামেন্টে ফর্ম হাতড়ে বেড়ানো তরুণ ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল সেঞ্চুরি মেরেছেন। সঞ্জু স্যামসন, জস বাটলাররা বিধ্বংসী ফর্মে। মায়াঙ্ক ফিরলে লড়াইটা আরও রোমাঞ্চকর হবে, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই।