অ্যাওয়ে, এ বার হোম। গত ম্যাচটি গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধেই খেলেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এ বার চিন্নাস্বামীতে সেই একই প্রতিপক্ষ। পরপর দু-ম্যাচে রেজাল্টও একই হোক, সেটাই প্রত্যাশা আরসিবি সমর্থকদের। প্রয়োজনও তাই। পয়েন্ট টেবলে সকলের শেষে রয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে প্রথমত বাকি সব ম্যাচেই জিততে হবে, দ্বিতীয়ত নেট রান রেটও ভালো করতে হবে।
গুজরাট টাইটান্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে বিশেষ নজরে ছিলেন শুভমনের স্পিনাররা। বিরাট কোহলি বনাম রশিদ খান, নুর আহমেদ। তৃতীয় স্পিনার হিসেবে হয়তো সাই কিশোর। প্রথম লেগের লড়াইয়ে জিতেছে আরসিবি। শুধু ম্যাচই নয়, স্পিনের সঙ্গে লড়াইয়েও। তাক লাগানো ব্যাটিং করেছিলেন উইল জ্যাকস। বিরাট কোহলিও হাফসেঞ্চুরি করেন। তবে উইল জ্যাকস যা ব্যাটিং করেছিলেন!
মাত্র ৬ মিনিট। উল্টোদিকে বিরাট কোহলি দাঁড়িয়ে। স্ট্রাইকার প্রান্ত থেকে ব্যাটিং তাণ্ডব দেখান উইল জ্যাকস। মাত্র ৬ মিনিটে হাফসেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছন। মাত্র ১০টি ডেলিভারিতেই সব হিসেব ওলট পালট করে দেন। ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জিতেছিল আরসিবি। এ বার ঘরের মাঠে তারই অ্যাকশন রিপ্লের অপেক্ষায় বেঙ্গালুরু সমর্থকরা। আরসিবির চিন্তা তাদের বোলিং বিভাগ।
অরেঞ্জ ক্যাপ হাতছাড়া হয়েছে বিরাট কোহলির। এ মরসুমে ৫০০ রান করেছেন। যদিও কিং কোহলির স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনাও হয়েছে প্রচুর। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য তা নিয়ে চিন্তিত নয়। গত ম্যাচে অবশ্যই বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন কোহলি। বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ফলে বাকি ম্যাচে কোহলির স্ট্রাইকরেটে যেন বাড়তি নজর থাকবে।
চিন্নাস্বামীর মাঠ ছোট। এই স্টেডিয়ামে হাইস্কোরিং ম্যাচের সম্ভাবনাই বেশি। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড এই মাঠেই। গুজরাট টাইটান্সের টপ অর্ডার ফর্মে নেই। সেই সুযোগই কাজে লাগানোর লক্ষ্য থাকবে আরসিবির।