সপ্তাহ দুয়েক! না তাও হয়নি। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ব্যাটিং তান্ডব দেখেছে বেঙ্গালুরু। শুধু একটা ম্যাচই নয়। এ বারের আইপিএলে বোলারদের আতঙ্ক হয়ে উঠেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ট্রাভিস হেডকে ফেরাবেন! অভিষেক শর্মা রয়েছেন। তিনি আউট হলে! এইডেন মার্কব়্যাম! এই বাধা পার করলেও স্বস্তি নেই। এরপর থাকছেন হেনরিখ ক্লাসেন। লোয়ার অর্ডারে শাহবাজ আহমেদ। তালিকা যেন শেষই হতে চায় না।
আইপিএলের ইতিহাসে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। এ মরসুমে বারবার সেই রেকর্ড ভেঙেছে। আর ভেঙেছে সানরাইজার্সই। ২৭৭ রান করেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। এই রেকর্ডও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আরসিবির বিরুদ্ধে ২৮৭ রান করে সানরাইজার্স। কয়েকদিন আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে যে ভাবে শুরুটা করেছিল সানরাইজার্স, আইপিএলে প্রথম ৩০০ প্লাস স্কোরও হয়তো দেখা যেত। আজ ঘরের মাঠে নামছে সানরাইজার্স। প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
হায়দরাবাদ নিজামের শহর। তেমনই মহম্মদ সিরাজেরও। কিন্তু নিজের শহরে নামার আগে একবিন্দুও স্বস্তিতে নেই সিরাজ। তাঁর টিমের হাল এতটাই খারাপ। পয়েন্ট টেবলে সকলের শেষে। এ মরসুমে মাত্র একটা জয়। প্লে-অফে যেতে এখান থেকে প্রতিটা ম্যাচই ফাইনাল। তাতেও প্লে-অফ নিশ্চিত হবে না। আরসিবি ব্যাটিং তবু কিছুটা ভালো পারফর্ম করছে। তাদের মূল চিন্তা বোলিং। আর প্রথম লেগের যা পরিস্থিতি হয়েছিল, এখান থেকে মানসিক ভাবেও ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ব্যাটারদের দুর্দান্ত ভাবে সাপোর্ট করছে তাদের বোলিং লাইন আপও। দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচের কথাই ধরা যাক। একটা সময় মনে হয়েছিল, রেকর্ড রান তাড়া করে জিতবে দিল্লি। যদিও স্লগ ওভারে নটরাজনের অনবদ্য বোলিং সানরাইজার্সকে বড় ব্যবধানে জিততে সাহায্য করেছিল। ঘরের মাঠ হোক বা অ্যাওয়ে, দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। এখান থেকে ২ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে হলে আরসিবিকে অবিশ্বাস্য পারফর্ম করতে হবে।