ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আগামী মরসুমে মেগা অকশন। কিন্তু রিটেনশন এবং RTM-এর মাধ্যমে ৬ প্লেয়ারকে রাখা যাবে। আইপিএলের মেগা অকশনের আগে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, সেই অনুযায়ী প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দু-জন করে আনক্যাপড প্লেয়ার রিটেন করতে পারবে। একজনের জন্য খরচ হবে ৪ কোটি। কলকাতা নাইট রাইডার্সে এই তালিকায় ধরা যায়, তরুণ পেসার হর্ষিত রানাকে। জিম্বাবোয়ে, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্কোয়াডে থাকলেও একাদশে সুযোগ পাননি। ফলে তিনি এখনও আনক্যাপড প্লেয়ারই রয়েছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সেই উত্থান হর্ষিতের। তাঁকে রিটেন করার সম্ভাবনা প্রবল। সঙ্গে আর কে? এই লড়াইয়ে এন্ট্রি আর এক ছটফটে ক্রিকেটারের।
বোর্ডের নির্দেশিকা অনুযায়ী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে রিটেনশন তালিকা জমা দিতে হবে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল, হর্ষিত রানার সঙ্গে তরুণ ব্যাটার অঙ্গকৃশ রঘুবংশীকে রিটেন করতে পারে কেকেআর। হর্ষিতের অভিষেক হয়ে গেলে সেক্ষেত্রে আর এক তরুণ পেসার বৈভব অরোরা এবং ব্যাটার রঘুবংশীকে আনক্যাপড হিসেবে রিটেন করা যেত। তবে কেকেআরের পরিকল্পনায় সুস্থ মাথাব্যাথা হয়ে দাঁড়িয়েছেন রমনদীপ সিং।
আইপিএলের গত সংস্করণের মিনি অকশনে রমনদীপ সিংকে নিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অনেককেই অবাক করেছিল সেই সিদ্ধান্ত। অলরাউন্ডার হলেও উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স ছিল না রমনদীপের। তবে আইপিএলে চমকে দিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে বেশ কিছু ক্যামিও ইনিংস। দুর্দান্ত ফিল্ডিং। সারাক্ষণই মাঠে নিজের উপস্থিতির জানান দেন। ওমানে চলছে এমার্জিং এশিয়া কাপ। প্রথম বার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও নজর কাড়ছেন রমনদীপ। ইকোনমিও দুর্দান্ত। আরব আমির শাহি ও ওমানের বিরুদ্ধে গত দু-ম্যাচে বোলিং করানো হয়েছে। তিনটি উইকেটও নিয়েছেন।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে মিডিয়াম পেস অনেক সময়ই কার্যকরী ভূমিকা নেয়। বিশেষ করে মিডল ওভারে। ব্যাটাররা দ্রুত রান তোলার চেষ্টায় জোরালো শট খেলেন। যা বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। রমনদীপের বোলিংয়ে এমনটা করতে গিয়েই উইকেট হারাতে বাধ্য হচ্ছেন। আর তাঁর পাওয়ারহিটিং কারও অজানা নয়। ওমানের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে নামতে হয়েছিল। জোড়া ছক্কায় ম্যাচ ফিনিশ করেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সে এখন ভাবনা, আনক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে রমনদীপকে কি রিটেন করা উচিত? আইপিএলে গত সংস্করণ এবং পরবর্তী পারফরম্যান্সের সৌজন্যে অকশনে তাঁকে নিয়ে জোরদার লড়াই হতেই পারে।