দীপঙ্কর ঘোষাল : হারের হ্যাটট্রিক থেকে বেরোতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিজেদের পরিকল্পনা এবং মাহির মাস্টারস্ট্রোক। এ মরসুমে এখনও অবধি সেরা কম্বিনেশন খুঁজে নিতে ব্যর্থ কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রতি ম্যাচেই একাদশে বদল। সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি তৈরি করছে ওপেনিং জুটি নিয়ে পরীক্ষা। এ মরসুমে সপ্তম ম্যাচে পঞ্চম ভিন্ন জুটি নামাল কেকেআর। সামনে ২৩৬ রানের বিশাল লক্ষ্য। এ মরসুমে এটিই সর্বাধিক স্কোর। কেকেআরের হয়ে ওপেনিংয়ে নামলেন সুনীল নারিন ও নারায়াণ জগদীশন। অতীতে ওপেন করলেও এ মরসুমে প্রথম বার ওপেনিংয়ে নারিন। অন্যদিকে, জগদীশন এ মরসুমে ওপেন করলেও সাফল্য পাননি। এই ম্যাচেও হতাশ করলেন। জেসন রয় কেন ওপেনিংয়ে নয়! এর কারণ হতে পারে চোট। বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়েছিলেন জেসন। দ্রুত ড্রেসিংরুমে চলে যান তিনি। কেকেআরের ২ উইকেট পড়ার পরও রয় না নামায় প্রশ্ন ওঠে। ২০০ প্লাস স্কোর তাড়া করতে হলে শুরুটা ভালো হওয়া প্রয়োজন। খারাপ শুরুর ধারাবাহিকতা বজায় রইল কেকেআরের। জেসন রয়-রিঙ্কু সিংয়ের মরিয়া লড়াইয়েও ৪৯ রানে হার। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla Sports-এ।
পিচ যতই ব্যাটিং সহায়ক হোক, পাহাড় প্রমাণ রানের লক্ষ্য থাকলে খেই হারানোই স্বাভাবিক। কেকেআরও শুরুতেই খেই হারাল। ওপেনিং জুটি ভাঙল মাত্র ১ রানেই। ইনিংসের চতুর্থ বলে সুনীল নারিনকে বোল্ড করেন আকাশ সিং। পরের ওভারেই আর এক ওপেনার নারায়ণ জগদীশনকে ফেরান তুষার দেশপান্ডে। এখানে অবশ্য মাহির মাস্টারস্ট্রোকের কথাও বলতে হয়। জাডেজাকে ডিপ থার্ডে পাঠান ধোনি। তুষারের বোলিংয়ে জাডেজার ক্যাচেই ফেরেন জগদীশন। ভেঙ্কটেশ আইয়ার, অধিনায়ক নীতীশ রানা ভালো শুরু করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না। ৭০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। রিঙ্কু সিং এবং জেসন রয় জুটি লড়াইয়ে ফেরায় কেকেআরকে।
ওভার প্রতি ১৫’র বেশি রানের লক্ষ্যটা খুবই কঠিন ছিল। ২৮ বলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রিঙ্কু সিং ও জেসন রয়। চোট নিয়েও ১৯ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন জেসন রয়। শেষ ৬ ওভারে কেকেআরের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০৯ রান। মাত্র ২৬ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ফেরেন জেসন রয়। ৫টি করে বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি রয়ের। রিঙ্কুর সঙ্গে ক্রিজে যোগ দেন আন্দ্রে রাসেল। আস্কিং রেট যে ভাবে বাড়ছিল, রাসেল একটা বিধ্বংসী ইনিংস খেলতে পারলে ক্ষীণ হলেও সম্ভাবনা ছিল কেকেআরের। শেষ চার ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮০ রান। আগের পঞ্জাব কিংস শেষ চার ওভারে ৮২ রান তুলেছিল। কিন্তু রাসেল ফিরলেন মাত্র ৬ বলে ৯ রানে। আউট হয়ে মেজাজ হারান রাসেল। ড্রেসিংরুমের বাইরে ব্যারিকেডে ব্যাট দিয়ে মারেন। বড় রকমের ফাটল ধরে। চতুর্থ আম্পায়ার রাসেলকে সতর্ক করেন। কেকেআরের হয়ে অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়তে পারলেন না ডেভিড উইজেও। রিঙ্কু সিংদের কাছে বাকি সময়টা ছিল হারের ব্য়বধান কমানো। ৩০ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন রিঙ্কু সিং। কেকেআর ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৬ রান তোলে। রিঙ্কু অপরাজিত ৫৩ রানে।