দীপঙ্কর ঘোষাল : ঘরের মাঠে ম্যাচ। তাতেও অবশ্য ভাগ্য ফিরল না মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। গত মরসুমে ১০ দলের মধ্যে সবার শেষে ছিল আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল। এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছিল তারা। তরুণদের ওপর আস্থা রেখেছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু অধিনায়ক নিজেই ভরসা দিতে পারেননি। মরসুম বদলালেও পরিস্থিতি একই থাকল মুম্বইয়ের। চিন্নাস্বামীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে এক পেশে ম্যাচে বড় ব্য়বধানে হেরেছিল রোহিত শর্মার দল। ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছেও কার্যত এক তরফা ম্যাচ এবং হার মুম্বইয়ের। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে হলুদ জার্সির দাপট দেখা গেল। বোলিংয়ে রবীন্দ্র জাডেজা, ব্যাটিংয়ে তেমনই অভিজ্ঞ অজিঙ্ক রাহানে। চোট থাকায় বেন স্টোকস, মইন আলিকে খেলাননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাদের অভাব বুঝতেই দিলেন না বাকিরা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট কি শুধুই ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে খেলা? সাধারণত, এমনটাই মনে করা হয়। তবে ঝোড়ো ব্য়াটিং বা অনবদ্য বোলিংয়ের জন্য বয়স কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কি! চেন্নাই সুপার কিংস তাতে বিশ্বাসী নয়। মিনি অকশনে দল বাছাই থেকেই এমনটা পরিষ্কার। উদ্বোধনী ম্যাচে গত বারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সের কাছে হারের পর ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। সেই ধারা বজায় রাখল হলুদ জার্সির ক্রিকেটাররা। ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারাল চেন্নাই সুপার কিংস।
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট কোনটা! এ যেন কঠিন প্রশ্ন। রবীন্দ্র জাডেজার স্পেল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তবে ভুললে চলবে না তাঁর ক্যাচের কথা। জোরালো শট মেরেছিলেন ক্যামেরন গ্রিন। বোলিং প্রান্তে রবীন্দ্র জাডেজা। রিয়্যাকশন টাইম এক সেকেন্ডেরও অর্ধের। এক হাতে অবিশ্বাস্য ক্য়াচ জাড্ডুর। আম্পায়ার ক্রিস গ্যাফানি অল্পের জন্য় আহত হওয়া থেকে বাঁচেন। ৪ ওভারের স্পেলে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট রবীন্দ্র জাডেজার। ব্য়াটিংয়ে তেমনই অবিশ্বাস্য় অজিঙ্ক রাহানে। এ মরসুমের দ্রুততম অর্ধশতরান এল তাঁর ব্যাটেই। সব মিলিয়ে ওয়াংখেড়েতে আরও একটা স্মরণীয় জয় মহেন্দ্র সিং ধোনির।