দীপঙ্কর ঘোষাল : ছোট মাঠে বড় ম্যাচ। দক্ষিণী ডার্বি ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। ম্য়াচটাও যে রোমাঞ্চকর হবে এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। আন্দাজ করা হয়েছিল হাই-স্কোরিং ম্য়াচের। সবই হল। পার্থক্য় গড়ে দিল ক্য়াচ মিস! দু-দলই বেশ কিছু ক্য়াচ ফসকেছে। যতই ছোট মাঠ হোক, পাহাড় প্রমাণ চাপ নিয়ে নেমেছিল আরসিবি। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ফাফ ডুপ্লেসি। আরসিবিকে ২২৭ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় চেন্নাই সুপার কিংস। ইনিংসের চতুর্থ বলেই বিরাট কোহলির উইকেট হারানো। মহীপাল লোমরোরের একচি ক্যাচও পড়ে। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। এরপরই ফাফ ডুপ্লেসি-গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল ঝড়। আরসিবি ভালো ভাবেই ম্য়াচের নিয়ন্ত্রণ রেখেছিল। তবে ডুপ্লেসি-ম্য়াক্সওয়েল জুটি ভাঙতেই ফের চাপে পড়ে আরসিবি। শেষ অবধি ৮ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় চেন্নাইয়ের। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর বনাম চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ রিপোর্ট TV9Bangla Sports-এ।
মহম্মদ সিরাজ পাওয়ার প্লে-তে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন। ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন এই ম্য়াচেও। পাওয়ার প্লে-তে প্রথম স্পেলে ২ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের উইকেট নেন সিরাজ। যদিও খেই হারায় আরসিবি। অজিঙ্ক-রাহানে ডেভন কনওয়ে বিধ্বংসী জুটি গড়ে। এই জুটি ভেঙে কিছুটা স্বস্তি দেন ওয়ানিন্দু হাসারঙ্গা। রাহানেকে ফেরান তিনি। কিন্তু কনওয়ে ক্রিজে থাকায় চাপ বেড়েই চলে। আর এক তরুণ ব্য়াটার শিবম দুবেও শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেন। কনওয়ে-দুবে জুটির চাপেই ১৪ তম ওভারে ফেরানো হয় সিরাজকে। তাতেও লাভ হয়নি। এই ওভারে ১৪ রান তোলে সিএসকে। অবশেষে এই জুটি ভাঙেন হর্ষল প্য়াটেল। তাঁর স্লোয়ারে পরাস্থ হন ডেভন কনওয়ে। ৪৫ বলে ৮৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সিএসকের এই কিউয়ি ওপেনার। শিবম দুবেও অর্ধশতরান করেন। শেষ অবধি নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান তোলে চেন্নাই সুপার কিংস।
শেষ ওভারে ১৯ রানে ডিফেন্ড করতে হত চেন্নাই সুপার কিংসকে। বোলিংয়ে তরুণ পেসার মাতিসা পাথিরানা। পুরো ম্য়াচই পেন্ডুলামের মতো পরিস্থিতি। কোনও দলকেই এগিয়ে পিছিয়ে রাখা যাচ্ছিল না। গ্য়ালারিতে কখনও গর্জন, কখনও নিস্তব্ধতা। পাথিরানার বলে ছয় মেরে আশা জাগান সূয়াশ প্রভুদেশাই। ইয়র্কারে চমকে দেন পাথিরানা। শেষ দু বলে ১১ রান প্রয়োজন ছিল। দুটো ছয় মারতে হত। পারলেন না সূয়াশ। তীরে এসে তরী ডুবল। উল্টোদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অধিনায়ক থাকলে যে কোনও টিমের পক্ষেই চাপের পরিস্থিতি হয়ে দাঁড়ায়। আরসিবিও জিতে মাঠ ছাড়তে পারল না। টিমের চারটে ক্যাচ মিস। তবে দুটো হাই ক্যাচ নিয়ে ডুপ্লেসি এবং ম্যাক্সওয়েলকে ফেরানোই পার্থক্য় গড়ে দিলেন ধোনি।