কলকাতা: গত কয়েক বছর ধরেই একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। ওয়ান ডে ক্রিকেটের অস্তিত্ব কি সঙ্কটে? টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রমরমা। টেস্ট ক্রিকেটে কিছুটা আকর্ষণ ফেরানো গিয়েছে। সৌজন্যে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। পয়েন্টের বিষয় থাকায়, কোনও দলই আর ড্র-য়ের অঙ্কে খেলতে চায় না। প্রথম নজর থাকে জয়েই। আর ইংল্যান্ডের ‘বাজবল’ ক্রিকেট টেস্টের আকর্ষণ আরও কিছুটা বাড়িয়েছে। কিন্তু ওয়ান ডে ক্রিকেট! সদ্য শেষ হয়েছে বিশ্বকাপ। দেড় মাসের এই টুর্নামেন্টে রেকর্ড দর্শক উপস্থিত ছিল। এ ছাড়াও টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচুর ভিউয়ার। বিশ্বকাপ শেষ হতেই ফের প্রশ্ন এই ফরম্যাট নিয়ে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে রেকর্ড দর্শক উপস্থিতি কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয়। ভারতে ক্রিকেটের উন্মাদনা আলাদা মাত্রার। শুধু ওয়ান ডে বিশ্বকাপ বলেই নয়। দ্বিপাক্ষিক সিরিজেও প্রচুর দর্শক থাকে। এটা দিয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটের আকর্ষণ বিচার করা কঠিন। বেশির ভাগ দেশই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতেই জোর দিচ্ছে। ওয়ান ডে ফরম্যাট সেই অর্থে নেই। ভারত আগামী বছর মাত্র আধডজন ওয়ান ডে খেলবে। ২০২৪-র নভেম্বরের অবধি পাকিস্তান কোনও ওডিআই খেলছে না! তার পরের বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান।
বিশ্বকাপ চলাকালীন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম পরামর্শ দিয়েছিলেন, ওয়ান ডে ফরম্যাট ৪০ ওভারের করা হোক। তেমনই কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকর বলেছিলেন, ওয়ান ডে ম্যাচকে ২৫ ওভার করে চার ইনিংসে ভাগ করা হোক। তাতে হয়তো একঘেয়েমি কাটতে পারে। তেমনই পাকিস্তানের আর এক কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনিসের মত ছিল, দু-দিক থেকে নতুন বলে শুরু করলেও ৩০ ওভার পর যে কোনও একটা বল দিয়ে ইনিংসের বাকি ২০ ওভার হোক। তাতে বোলারদের কাছে রিভার্স সুইংয়ের সুযোগ থাকবে এবং স্লগ ওভারে ব্যাট-বলের রুদ্ধশ্বাস প্রতিযোগিতা দেখা যেতে পারে।