Jake Fraser-McGurk IPL Auction 2025: পন্টিংয়ের পরিকল্পনায় জল ঢেলে জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগুরুককে ছিনিয়ে নিল দিল্লি

Jake Fraser-McGurk Auction Price: জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুকের বেস প্রাইস ২ কোটিতে বিড করে দিল্লি। পঞ্জাব ২.২০ কোটিতে তাঁকে নেওয়ার চেষ্টা করেন। লখনউ নেমে পড়ে ময়দানে। তারপর শুরু হয় পঞ্জাব ও লখনউয়ের লড়াই। জ্যাকের দর বাড়তে শুরু করে। পন্টিং নিলাম টেবলে পরিকল্পনা করেন জ্যাককে নেওয়ার। কিন্তু তাতে জল ঢেলে দেয় দিল্লি।

Jake Fraser-McGurk IPL Auction 2025: পন্টিংয়ের পরিকল্পনায় জল ঢেলে জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগুরুককে ছিনিয়ে নিল দিল্লি
Image Credit source: PTI FILE

| Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Nov 24, 2024 | 6:53 PM

গত মরসুমে ছিলেন আনক্যাপড। মাত্র ৫০ লক্ষ টাকায় তাঁকে নিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। এ বছর ফেব্রুয়ারিতে ওয়ান ডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় অস্ট্রেলিয়ার তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটারের। এ বার ক্যাপড প্লেয়ার হিসেবে আইপিএলে রেজিস্টার করেছিলেন জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগুরুক। বেস প্রাইস ২ কোটি টাকা। তবে প্রত্যাশা ছিল, তাঁকে নিয়ে নিলামের টেবিলে ঝড় উঠবে। সেই ঝড় উঠল সত্যিই।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ‘ওয়াইল্ড কার্ড’ এন্ট্রি বলা যায় অজি তরুণ ক্রিকেটার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগুরুককে। আইপিএলের কোনও অংশেই কার্যত ছিলেন না। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে কিছুটা নাম ডাক করেছিলেন। বিশেষ করে একটি ওয়ান ডে ফরম্যাটের ম্যাচে বিধ্বংসী সেঞ্চুরির পর তাঁর দিকে কিছুটা ফোকাস যায়। দিল্লি ক্যাপিটালসের পেসার লুনগি এনগিডি চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় বিকল্প হিসেবে নেওয়া হয়েছিল জ্যাককে। অনেকেই অবাক হয়েছিলেন, একজন পেসারের বদলি কেন ব্যাটার!

শুরুর দিকে নেটেই কাটাতে হয়েছে। তবে নেটে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে যেন বারবার বার্তা দিয়েছেন, সুযোগ পেলে কাজে আসতে পারেন। অবশেষে সুযোগ মেলে। বেশ কিছু ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসকে দুর্দান্ত স্টার্ট দিয়েছেন তরুণ ওপেনার। আইপিএলে ভালো পারফরম্যান্সের জেরেই অস্ট্রেলিয়ার সাদা বলের ক্রিকেটে সুযোগ মিলেছিল জ্যাকের। দিল্লিতে যেমন ওয়ার্নারের বিকল্প হিসেবে একাদশে নজর কেড়েছিলেন, জাতীয় দলেও তেমনই ভাবা হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক মঞ্চে অবশ্য সে ভাবে মেলে ধরতে পারেনি। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আর যাই হোক দেশের হয়ে খেলার মতো চাপ নেই। আর চাপ না থাকলে তিনি কেমন পারফর্ম করতে পারেন সেটা আইপিএলে অভিষেক মরসুমেই দেখিয়েছেন। ৯ ম্যাচে ৩৩০ রান করেছিলেন জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগুরুক। সর্বাধিক স্কোর ৮৪। সব মিলিয়ে চারটি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। আর স্ট্রাইকরেট! প্রায় ২৩৫। যা চমকে দেওয়ার মতোই।

জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুকের বেস প্রাইস ২ কোটিতে বিড করে দিল্লি। পঞ্জাব ২.২০ কোটিতে তাঁকে নেওয়ার চেষ্টা করেন। লখনউ নেমে পড়ে ময়দানে। তারপর শুরু হয় পঞ্জাব ও লখনউয়ের লড়াই। জ্যাকের দর বাড়তে শুরু করে। ৪ কোটি দর ওঠে এরপর। পঞ্জাবের নতুন ক্যাপ্টেন রিকি পন্টিং মরিয়া হয়ে ওঠেন জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগুরুককে নিতে। ৫.৫০ কোটিতে পন্টিংয়ের পঞ্জাব জ্য়াকের জন্য বিড করেন। দিল্লি এরপর আরটিএম অপশন নেয়। এরপর স্বাভাবিকভাবেই সর্বাধিক দর হাঁকিয়ে তাঁকে নিতে হত পঞ্জাবকে। সব শেষে পঞ্জাবের ফাইনাল বিড ৯ কোটি। ঠিক সেই সময় দিল্লি ৯ কোটি দিয়ে আরটিএম ব্য়বহার পন্টিংয়ের থেকে জ্য়াক ফ্রেজারকে কেড়ে রেখে দিল।