ওভালঃ চতুর্থ দিনের শেষেও মনে হয়নি পঞ্চম দিন এত সহজ হতে চলেছে টিম ইন্ডিয়ার কাছে। শুধু চতুর্থ দিনের শেষবেলাই বা কেন বলব, পঞ্চম দিনের শুরুটা দেখেও তো মনে হয়নি, ওভালের বিকেলটা এত মধুর হয়ে উঠবে ভারতের জন্য। বিশেষ করে ওপেনিং জুটিতে রয় বার্নস-হামিদ জুটি দাপট দেখাচ্ছিল। সকালে রুটের রাশ আলগা হতেই বিরাট যেন ছিনিয়ে নিল। আর ৫০ বছর পর ফের ওভালে উড়ল গর্বের তেরঙা। অজিত ওয়াদেকরের পর বিরাট কোহলির ভারত গড়ল অনন্য কীর্তি।
কিভাবে বদলালো ম্যাচ? কিভাবে ঘুরল ম্যাচের চাকা? ম্যাচ জয়ের পর এসে বিরাট কোহলির দাবি, “আজ সকালে উইকেটের চরিত্র একটা ফ্যাক্টর তো অবশ্যই। এদিন রোদ উঠতেই জাদেজা শুরু থেকেই পিচের রাফ এরিয়াতে বল রাখছিল। যা বিপদে ফেলছিল ইংল্যান্ডকে। আমার দলের পেসাররা এই পিচ থেকে রিভার্স সুইয়ে দারুণ ফায়দা পেয়েছে।আমাদের বোলাররা যেভাবে রিভার্স সুইং করাচ্ছিল, তাতে মনে হয়েছিল প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট তুলে নিতে সমস্যা হবে না।”
ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট? বিরাটের সাফ জবাব বুমরাহর দ্বিতীয় স্পেলই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এক সময় ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১৪১। ম্যাচে তখনও ছিল ইংল্যান্ড। পোপ ও জনি বেয়ারস্টোকে পরপর ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে কোনঠাসা করে দেন বুমরাই। ৩ উইকেটে ১৪১ থেকে ইংল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৪৬। সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ইংল্যান্ড। বিরাট জানান, “বল যখন রিভার্স করতে শুরু করেছে, তখন বুমরাহ আমার কাছে এগিয়ে আসে। বলে আমাকে বল দাও। বুমরাহ দ্বিতীয় স্পেলে দুর্ধর্ষ ছিল। পরপর দুটো বড় উইকেট পেতেই ম্যাচের রাশ আমাদের হাতে চলে আসে।”
হারের পর বিরাটের সুর শোনা গেল রুটের গলায়। ম্যাচ হারের পর বুমরাহর দ্বিতীয় স্পেলকেই হারের কারন হিসেবে তুলে ধরেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। রুটের মতে, পরপর পোপ ও বেয়ারস্টোকে হারিয়েই ম্যাচ তাঁদের হাত থেকে বেরিয়ে যায়।
সবাই যখন তাঁর দ্বিতীয় স্পেল নিয়ে ধন্য ধন্য করছেন, তখন নতুন কীর্তি গড়লেন বুমরাহ। টেস্ট ক্রিকেটে ভারতীয় বোলার হিসেবে দ্রুততম ১০০ উইকেটের মালিক হলেন ভারতীয় পেসার। টপকে গেলেন কপিল দেবকে। ২৫ টি টেস্টে ১০০ উইকেট পেয়ে এতদিন দ্রুততম ছিলেন প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক কপিল দেব। বুমরাহ ১০০টি টেস্ট উইকেটে পৌঁছতে সময় নিলেন ২৪টি টেস্ট। পোপকে আউট করার সঙ্গে সঙ্গেই এই মাইলস্টোনে পৌঁছন বুমরাহ।কপিলকে টপকে বুমরাহ ১ নম্বরে পৌঁছতেই ৩ নম্বরে নেমে গেলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার ইরফান পাঠান।