৩৯-এও ঝুলন যেন ভারতের নারী ‘দি বস’

sushovan mukherjee | Edited By: arunava roy

Mar 09, 2021 | 6:14 PM

নতুন বল হাতে ঝুলন (Jhulan Goswami) ফিরিয়েছিলেন ওপেনার লিজলে লি-কে। পরের স্পেলে এসে মারিজেন কাপকে। ফের তৃতীয় স্পেলে ধাক্কা দেন বিপক্ষকে। এক ওভারে তৃতীয় ও পঞ্চম ওভারে তুলে নেন নাডাইন ডি ক্লার্ক ও শবনিম ইসমাইলকে। ম্যাচের সেরাও ঝুলনই। নারী দিবসের পর দিনই যেন মিতালির টিমের নারী 'দি বস' ঝুলন (Jhulan Goswami)।

৩৯-এও ঝুলন যেন ভারতের নারী দি বস
৪ উইকেট নিলেন ঝুলন গোস্বামী। ছবি: টুইটার

Follow Us

কলকাতা: বয়স শুধুই সংখ্যা। রজার ফেডেরার (Roger Federer) থেকে লিয়েন্ডার পেজরা (Leander Paes) বারবার বলেন। বরং বয়সের সঙ্গে বাড়া অভিজ্ঞতাকেই গুরুত্ব দেন তাঁরা। বাংলার ঝুলন গোস্বামীও (Jhulan Goswami) ঢুকে পড়তে পারেন তাঁদের বন্ধনীতে। ৩৯-এর ঝুলন এখনও ঝরাচ্ছেন বাইশ গজে। দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে নিলেন ৪ উইকেট। ১০ ওভার বল করে, ৪২ রান দিয়ে। ডান পেসার ঝুলন এখনও তরুণ প্রজন্মের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকছেন।

আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির ফেভারিট অশ্বিন

মিতালি রাজের ভারত ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ হেরে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের কাছে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে সমতা ফেরাতে হলে লখনৌয়ের ম্যাচে জয় পাওয়া দরকার ছিল ভারতের। ঝুলন সেই কাজটা সহজ করে দিলেন। ১৫৭ রানে শেষ হয়ে যায় প্রোটিয়া। ৩ উইকেট রাজেশ্বরী গায়কোয়াড়ের। ২ উইকেট মানসী যোশীর। ১টা হরমনপ্রীত কৌরের। জবাবে ভারতের মেয়েরা ২৮.৪ ওভারে ১৬০-১ তুলে জিতে যায়। স্মৃতি মান্ধানা ৮০ ও পুনম যাদব ৬২ রানে নট আউট থেকে যান।

নতুন বল হাতে ঝুলন ফিরিয়েছিলেন ওপেনার লিজলে লি-কে। পরের স্পেলে এসে মারিজেন কাপকে। ফের তৃতীয় স্পেলে ধাক্কা দেন বিপক্ষকে। এক ওভারে তৃতীয় ও পঞ্চম ওভারে তুলে নেন নাডাইন ডি ক্লার্ক ও শবনিম ইসমাইলকে। ম্যাচের সেরাও ঝুলনই। নারী দিবসের পর দিনই যেন মিতালির টিমের নারী ‘দি বস’ ঝুলন।

 

ম্যাচের পর ঝুলন বলেছেন, “প্রায় এক বছর পর আবার ক্রিকেটে ফিরেছি। তার ওপর দক্ষিণ আফ্রিকার মতো টিমের বিরুদ্ধে খেলা। আমার কাছে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমি শুধু ঠিক জায়গায় বলটা রাখার চেষ্টা করেছি।” ৩৯ বছরে নিজেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য ফিট রাখা যে কতটা কঠিন, ভাল করেই জানেন ঝুলন। তাই বেছে বেছে ম্যাচ খেলার চেষ্টা করেন। যা নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা, “আগামী বছর বিশ্বকাপ আছে। নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করছি, যাতে বেশি ম্যাচ খেলতে পারি। জাতীয় অ্যাকাডেমির ফিজিওরা খুব সাহায্য করছে।”

যদি নো বল না করতেন, তা হলে নামের পাশে ৫ উইকেট থাকত তাঁর। ঝুলন অকপট, “নো বলটার জন্যই পাঁচটা উইকেট পেলাম না। ভবিষ্যতে এমন যাতে আর না ঘটে, সে দিকে নজর রাখতে হবে।” ১৮৪টা ওয়ান ডে ম্যাচ খেলে ২৩১টা উইকেট পেয়েছেন তিনি। মেয়েদের ক্রিকেটে তিনিই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। আগের ম্যাচে ৩৮ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন।
নিজের সাফল্যের মন্ত্র আগামী প্রজন্মের মধ্যে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ঝুলন। ম্যাচের পর হাসতে হাসতে বলেছেন, “আমি সব সময় আমার জুনিয়রদের সাহায্য করার চেষ্টা করি। মণিকা, মানসী দারুণ বল করছে।”

Next Article