লন্ডন : বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে বিরাট ধাক্কা অজি শিবিরে। ছিটকে গেলেন তারকা পেসার জশ হ্যাজলউড। দীর্ঘ সময় ধরেই চোট রয়েছে তাঁর। এরপরও তাঁকে স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল। অজি টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছিল, ফিট হয়ে উঠেছেন তিনি। কিন্তু ফাইনালের দু-দিন আগে ছিটকে গেলেন জশ। তাহলে কি ফিট না হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে স্কোয়াডে রাখা হয়েছিল? শুধু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালই নয়, অ্যাসেজ সিরিজের শুরুতেও তাঁকে পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হল। তাঁর পরিবর্ত হিসেবে স্কোয়াডে যোগ করা হয়েছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার মাইকেল নেসারকে। যদিও ফাইনালের মঞ্চে নেসারকে খেলানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সদের সঙ্গে তৃতীয় পেসার হিসেবে খেলার সম্ভাবনা প্রবল স্কট বোলান্ডের। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports -এর এই প্রতিবেদনে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে থেকেই জশ হ্যাজলউডের চোট ছিল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর অবশ্য তাঁর পরিবর্ত নেয়নি। তাঁকে প্রথম সাত ম্যাচে পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। মহম্মদ সিরাজের অনবদ্য পারফরম্যান্স অবশ্য হ্যাজলউডের অনুপস্থিতি বুঝতে দেয়নি আরসিবিকে। টুর্নামেন্টের প্রথম পর্ব পেরিয়ে যাওয়ার পর হাতে গোনা ম্যাচ খেলেছিলেন হ্যাজলউড। পারফরম্যান্সও আহামরি নয়। তিনি যে পুরোপুরি ফিট নন, পরিষ্কার বোঝা গিয়েছিল। বাকি ম্যাচ না খেলে দেশে ফিরে যান হ্যাজলউড। লক্ষ্য ছিল বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। তাঁর ফিটনেস নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও অজি টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়, হ্যাজলউট পুরোপুরি ফিট। সে কারণেই তাঁকে ফাইনাল স্কোয়াডেও রাখা হয়। যদিও শেষ অবধি ছিটকেই গেলেন।
ভারতীয় দলের মতো অস্ট্রেলিয়াও গত কয়েক দিন পুরো দমে অনুশীলন করেছে। নেটে বোলিংও করেন হ্যাজলউড। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচক প্রধান জর্জ বেইলি বলেন, ‘জশকে খেলার সবুজ সংকেত দেওয়া সময়ের অপেক্ষা। আমাদের সামনে দীর্ঘ সূচি রয়েছে। টেস্ট ফাইনালে খেলিয়ে ঝুঁকি বাড়াতে চাই না। কয়েক দিনের বিশ্রামের ফলে অ্যাসেজ সিরিজের জন্য পুরো ফিট হয়ে উঠতে পারবে জশ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পর সাত সপ্তাহের মধ্যে আমাদের ছটি টেস্ট খেলতে হবে। জশ আমাদের পেস বোলিং বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ।’