KL Rahul: বিরাটের পথেই রাহুল

কেএল রাহুল নিজেও এই সংস্থায় বিনিয়োগ করে বেশ খুশি। তিনি বলেন, 'এই সংস্থার চিন্তাধারা বেশ অন্যরকম। এদের প্রোডাক্টের গুণগত মানও বেশ ভালো। সব দিক থেকেই এই সংস্থা অনন্য।'

KL Rahul: বিরাটের পথেই রাহুল
বিরাটের পথেই কেএল রাহুল। ছবি: টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 05, 2022 | 4:54 PM

মুম্বই: বিরাটের পথেই এ বার হাঁটলেন লোকেশ রাহুল (KL Rahul)। ক্রিকেটের পাশাপাশি এ বার ব্যবসাতেও বিনিয়োগ লখনউ সুপারজায়ান্টসের অধিনায়কের। হোসিয়ারি ব্যবসায় বিনিয়োগ কেএল রাহুলের। একটি নামী সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর হওয়ার পাশাপাশি সেই সংস্থায় লগ্নিও করছেন ভারতীয় দলের ((Indian Cricket Team) এই উইকেটকিপার ব্যাটার। সোমবারই আইপিএলে দুরন্ত পারফর্ম করেন রাহুল। ব্যাট হাতে ৫০ বলে ৬৮ রানের অনবদ্য ইনিংস উপহার দেন লখনউয়ের অধিনায়ক। ইনিংসে সাজানো ৬টা চার আর একটা ছয়। ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে সহজে উড়িয়েও দেয় লখনউ। প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও পরপর দুটো ম্যাচে রান পেয়েছেন কেএল রাহুল। লখনউয়ের অধিনায়ক যে হোসিয়ারি সংস্থাটি অনলাইনেও নিজেদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে।

সংস্থার কর্ণধার যোগেশ কাবরা বলেন, ‘কেএল রাহুল একজন অসাধারণ ক্রিকেটার। কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়েছে। একজন বিশ্ব মানের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব। তরুণ প্রজন্মের আইডল।’ কেএল রাহুল নিজেও এই সংস্থায় বিনিয়োগ করে বেশ খুশি। তিনি বলেন, ‘এই সংস্থার চিন্তাধারা বেশ অন্যরকম। এদের প্রোডাক্টের গুণগত মানও বেশ ভালো। সব দিক থেকেই এই সংস্থা অনন্য।’

গত বছর জুনে এই সংস্থা ৩০ কোটি টাকা লাভ করে। কত টাকা কেএল রাহুল বিনিয়োগ করেছেন তা অবশ্য জানা যায়নি। ২০১৮ সালের হিসেব অনুযায়ী, ভারতে ইনার ওয়েরের মার্কেট ভ্যালু ৩২০ বিলিয়ন টাকা। কয়েক দিন আগেই মানবিক রাহুলকে দেখা যায়। ১১ বছরের এক খুদে ক্রিকেটারের জন্য এগিয়ে এসেছিলেন ভারতের ভাইস ক্যাপ্টেন কেএল রাহুল । ভারোদ নালাওয়াড়ের অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনে ৩১ লক্ষ টাকা অনুদান ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটারের। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের জন্য ৩৫ লাখ টাকা প্রয়োজন ছিল। গত ডিসেম্বরে ভারোদের পরিবার তাঁদের ছেলের চিকিৎসার জন্য একটি সংস্থার দ্বারস্থ হন। সেই সংস্থাই ভারোদের জন্য তহবিল গড়ে তোলে। কেএল রাহুল সেই কথা শোনার পরই এগিয়ে আসেন। ১১ বছরের ক্রিকেটারের চিকিৎসার জন্য মানবিক হয়ে ওঠেন ভারতীয় দলের সহ অধিনায়ক। ভারোদের বাবা সচিন নালাওয়াড়ে পেশায় একজন জীবনবিমার কর্মী। তাঁর মা গৃহবধূ। ৩৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করা তাঁদের পক্ষে অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এক বিরল রক্তাল্পতার রোগে ভুগতে থাকা ভারোদের জীবন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: Vinod Rai Book: ‘শৃঙ্খলাপরায়ণ’ কুম্বলের কোচিংয়ে ভয় পেয়ে যাচ্ছে তরুণরা, বলেছিলেন বিরাট