Mayank Yadav: গতিই অস্ত্র, ‘রাজধানী এক্সপ্রেস’ মায়াঙ্ক যাদব বলছেন, আইপিএলের আগে আমি জানতামই না…
IPL: আইপিএলের মঞ্চে মায়াঙ্ক যাদব গতির ঝড় তুলেই লাইমলাইটে এসেছিলেন। তিনি নিজেও জানিয়েছেন, আইপিএলে খেলার আগে বিশ্বাস করতেন না যে ১৫০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে তিনি বল করতে পারেন। এ বার তাঁর ভারতীয় দলের জার্সিতে গতির কামাল দেখানোর পালা।
কলকাতা: আইপিএলের (IPL) মঞ্চ প্রতিভার খোঁজ দেয়। এ কথা বার বার বলা হয়। আরও একবার তা প্রমাণিত হল। ১৭তম আইপিএলে লখনউ সুপার জায়ান্টসের জার্সিতে গতির ঝড় তুলে শিরোনামে এসেছিলেন দিল্লির তরুণ তুর্কি। এ বার তাঁর জাতীয় দলের হয়ে খেলা সময়ের অপেক্ষা। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আসন্ন টি-২০ সিরিজে ভারতীয় টিমে ডাক পেয়েছেন মায়াঙ্ক যাদব (Mayank Yadav)। প্রথম বার সিনিয়র ভারতীয় টিমে ডাক পেয়ে মায়াঙ্কের মুখে গতির কথা আসতেই উঠে এসেছে আইপিএলের প্রসঙ্গ।
আইপিএলের মঞ্চে মায়াঙ্ক গতির ঝড় তুলেই লাইমলাইটে এসেছিলেন। তিনি নিজেও জানিয়েছেন, আইপিএলে খেলার আগে বিশ্বাস করতেন না যে ১৫০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে তিনি বল করতে পারেন। এই প্রসঙ্গে মায়াঙ্ক বলেন, ‘আমি জানতাম না এই গতিতে বল করতে পারি। আমি মনে করতাম যে গতিতে বল করি, সেটা স্বাভাবিক। দেবেন্দ্র শর্মা স্যার (সনেট ক্লাবের কোচ) এবং দিল্লি ক্রিকেটের অনেকে আমাকে বলত যে আমি ১৫০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে বল করি। কিন্তু আমি কখনও ওদের কথা বিশ্বাস করতাম না।’
২০২৩ সালে লখনউ সুপার জায়ান্টস ২০ লক্ষ টাকায় কেনে মায়াঙ্ক যাদবকে। চোটের কারণে ওই মরসুমটা খেলতে পারেননি তিনি। এরপর ২০২৪ সালে পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে আইপিএলে তাঁর অভিষেক হয়। প্রথম ম্যাচেই তিনি ১৫৫.৮ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে বল করে ঝড় তুলেছিলেন। আইপিএলে লখনউ শিবিরে এসেই মায়াঙ্ক বিশ্বাস করেন যে তিনি দ্রুত গতিতে বল করতে পারেন। এই নিয়ে মায়াঙ্ক বলেন, ‘লখনউ সুপার জায়ান্টসে প্রথম মরসুমে আমি কম সময় বোলিং করেছিলাম। আমাকে সাপোর্ট স্টাফরা ডেলিভারির গতি নিয়ে আন্দাজ করতে বলেছিল। আমি বলেছিলাম হয়তো ১৪০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে বল করেছি। মনে হচ্ছিল ভালো ছন্দে রয়েছি। এরপর তাঁরা আমাকে জানায় যে আমি ১৪৯ ও ১৫০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগে বল করেছিলাম। তারপর আমি বিশ্বাস করেছিলাম, যে আমি সত্যিই দ্রুত গতিতে বল করতে পারি।’
এই খবরটিও পড়ুন
১৭তম আইপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে সেরার পুরস্কার পেয়েছিলেন মায়াঙ্ক। ওই ম্যাচে ১৫৫ কিমির বেশি গতিতে ডেলিভারি করে সকলের কাছে নিজের নাম জানিয়েছিলেন মায়াঙ্ক। এরপর আরসিবির বিরুদ্ধে আইপিএল ম্যাচে ১৫৬.৭ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বল করে নিজের গতিকেই মাত দেন মায়াঙ্ক। এ বছরের পুরো আইপিএলে তাঁর অবশ্য খেলা হয়নি। চোটের কারণে মরসুমের শুরুর দিকেই ছিটকে যান তিনি। তারপর চলেছে দীর্ঘ রিহ্যাব। এ বার তিনি ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলে। অপেক্ষা এ বার মায়াঙ্কের নীল জার্সি গায়ে চাপিয়ে গতির ঝড় তোলার।