কলকাতা: মালিক চাইলেই যা ইচ্ছে বলতে পারেন? প্লেয়ার অর্থের বিনিময়ে খেলেন বলে কি তাঁর সম্মান নেই? এই প্রশ্ন পরশু রাত থেকেই উঠতে শুরু করেছে। ক্রিকেট মহল এ নিয়ে প্রকাশ্যেই মতামত রেখেছে। কিন্তু লোকেশ রাহুলের লখনউ সুপার জায়ান্টস টিমের কোনও সতীর্থকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। ক্যাপ্টেনকে যাই বলা হোক না কেন, বাকিরাও টিমের পে-রোলে আছেন। তাই মালিকের বিরুদ্ধে মুখ খোলা বেশ কঠিন। কিন্তু যাঁরা লখনউয়ের প্লেয়ার নন, তাঁরা? আইপিএলের (IPL) অন্য টিম কিংবা ভারতীয় টিমের কোনও ক্রিকেটারকে এ নিয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। ব্যতিক্রম মহম্মদ সামি (Mohammed Shami)। বাংলার পেস বোলারকে কখনওই আপস করতে দেখা যায়নি।
হার-জিৎ খেলায় থাকে। আইপিএল ক্রিকেট বিনোদন ছাড়া আর কী! একটা ম্যাচে বা পর পর হারের জন্য ক্যাপ্টেনকে প্রকাশ্যেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কোনও যুক্তিই খুঁজে পাচ্ছেন না। লখনউয়ের টিম মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে পাল্টা দিলেন সামি। ক্রিকবাজ়কে দেওয়া ইন্টারভিউতে সামি বলেছেন, ‘প্লেয়ারদের কিন্তু সম্মান আছে। টিমের মালিক হিসেবে যেমন আপনারও রয়েছে। অনেক লোকই আপনাকে দেখছে। আপনার কাছ থেকে শিখছে। ক্যামেরার সামনে ঘটা এই রকম ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার। যদি আপনি এমন কিছু করতে চান, তার অনেক রাস্তা আছে। ড্রেসিংরুমে এমন কাণ্ড ঘটাতেই পারতেন। টিম হোটেলে ফিরে গিয়ে বলতে পারতেন। কিন্তু মাঠে এমন আচরণ করার কোনও যুক্তি নেই। এমন প্রতিক্রিয়া দিয়ে লালকিলায় ঝাণ্ডা লাগাননি আপনি।’
বছর কয়েক আগে ক্রিকেট দুনিয়া ফালাফালা হয়ে গিয়েছিল বিরাট কোহলির ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন্সি ছাড়ার সিদ্ধান্তে। তার থেকেও বেশি বিতর্ক ছড়িয়েছে প্রকাশ্যে রাহুলের অপমান। ভারতীয় টিমের ক্রিকেটার বলে নয়, প্লেয়ার হিসেবে এমন ধিক্কার, হেনস্তা কি তাঁর প্রাপ্য ছিল, প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন অনেকেই। সামি বলে দিয়েছেন, ‘মাথায় রাখতে হবে, রাহুল কিন্তু টিমের ক্যাপ্টেন। সাধারণ ক্রিকেট নয়। ক্রিকেট টিমগেম। যদি পরিকল্পনা সফল না হয়, তা হলে বিশেষ কিছু করার থাকে না। খেলায় যা কিছু ঘটতেই পারে। এটা বুঝতে হবে, খেলায় ভালো-খারাপ দিন থাকে। কিন্তু সব প্লেয়ারেরই সম্মান থাকে।’