ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অন্যতম সফল পেসার মহম্মদ সিরাজ। দেশের হয়েও তিন ফরম্যাটেই খেলেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে তাঁর কেরিয়ার শুরু হয়েছিল হোম টিম সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। সিরাজের হায়দরাবাদের ক্রিকেটার। যদিও সানরাইজার্সে মাত্র এক মরসুমই খেলেছিলেন। এরপর বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তাঁর ‘টিম’ হয়ে ওঠে। পেসার হিসেবে তাঁর গ্রুমিং সেখানেই মূলত। তবে সিরাজের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতার অভাব দেখা গিয়েছে। কোনও ম্যাচে খুবই ভালো, আবার কোনও সময় স্নায়ুর চাপে ভোগেন। ধীরে ধীরে সেই জায়গাটা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন।
সেই ২০১৭ সালে হায়দরাবাদে এক মরসুম, ২০১৮ সালে আরসিবি। তারপর থেকে রয়্যাল চ্য়ালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতেই খেলেছেন। আইপিএলে তাঁর কেরিয়ারও দীর্ঘ। ৯৩ ম্যাচে ৯৩টি উইকেট নিয়েছেন। পাওয়ার প্লে-স্লগ ওভারেও বোলিং করেন। ফলে ইকোনমিও অনেকটা বেশি। আইপিএলে তাঁর ইকোনমি ৮.৬৪। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ইকোনমি মাত্র ৭.৭৯। আইপিএলের তুলনায় অনেকটাই ভালো।
জেড্ডায় হওয়া মেগা নিলামে সিরাজের জন্য প্রথম বিড গুজরাট টাইটান্সের। এরপর মিঁয়াকে নিয়ে আগ্রহ দেখায় ধোনির সিএসকে। ৮.২৫ কোটি দর ওঠার পর চেন্নাই থেমে যায়। এরপর রাজস্থান ৮.৫০ কোটিতে দৌড়ে। শুরু হয়ে যায় রাজস্থান ও গুজরাটের লড়াই। রাজস্থানকে টেক্কা দিতে শেষ ১২.২৫ কোটি বিড করে গুজরাট টাইটান্স। তারপর রাজস্থান দর কষাকষি থামিয়ে দেয়। স্বাভাবিকভাবে আরটিএম-এর জন্য আরসিবিকে প্রশ্ন করা হয়। সিরাজের জন্য আরসিবি আরটিএম ব্যবহার করবে না বলে জানিয়ে দেয়। যার ফলে গুজরাট টাইটান্স সিরাজকে নিল ১২.২৫ কোটিতে।