দীর্ঘ বিরতির পর নেমেছিল মোহনবাগান। ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ চেন্নায়িন এফসি। বিরতি থেকে ফিরলে ছন্দপতন হয়। মোহনবাগান শিবিরে এমন কিছু দেখা যায়নি। বরং মনে হচ্ছিল, যেখানে শেষ করেছিলেন, শুরুটাও হল সেখান থেকেই। কিন্তু এরপরও খালি হাতে ফিরতে হবে, এমনটা যেন কেউই প্রত্যাশা করেননি। অথচ শুরু থেকে দাপট সবুজ মেরুন জার্সিরই। ঘরের মাঠের সমর্থনও সঙ্গে ছিল।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে জনি কাউকোর গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। এক গোল সুরক্ষিত না হলেও মোহনবাগানের পারফরম্যান্স ভরসা করার মতোই ছিল। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। ১-০ লিড নিয়েই বিরতিতে যায় সবুজ মেরুন। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের রং পুরোপুরি পাল্টে যায়। ম্যাচের ৭২ মিনিটে জর্ডনের গোলে সমতা ফেরায় চেন্নায়িন এফসি। মোহনবাগান শিবিরে অস্বস্তি বাড়ে ৮ মিনিটের মধ্যেই।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে এডওয়ার্ডসের গোলে লিড নেয় চেন্নায়িন এফসি। মোহনবাগান অবশ্য হাল ছাড়েনি। দিমিত্রি পেত্রাতোসকে সামলাতে হিমশিম পরিস্থিতি ছিল চেন্নাইয়ের। তারই ফল পায় মোহনবাগান। অ্যাডেড টাইমে দিমিত্রি পেত্রাতোসের পেনাল্টি গোলে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। সেই স্বস্তিও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
অ্যাডেড টাইমেই ফের গোল চেন্নায়িনের। ফের লিড নেয় অ্যাওয়ে টিম। ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া চেষ্টা করে মোহনবাগান। যদিও চেন্নাইয়ের সেভজিৎ হয়ে দাঁড়ান বাঙালি গোলরক্ষক দেবজিৎ। শেষ অবধি ৩-২ ব্যবধানে জয় চেন্নায়িনের।