India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো বোলিংয়ের রহস্য কী? জানালেন কেপটাউন জয়ের অন্যতম নায়ক

IND vs SA, Mukesh Kumar: মুকেশ কুমারের কিছু ডেলিভারি প্রতিপক্ষ ব্যাটারকেই শুধু নয়, ভারতীয় শিবিরকেও চমকে দিয়েছে। গুডলেন্থ স্পট থেকেও বল হঠাৎই লাফিয়ে উঠেছে। তাঁর বোলিংয়ে চাপও তৈরি হয়েছিল প্রোটিয়া শিবিরে। প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকেই প্রথম পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করেন রোহিত। জোড়া উইকেট নিয়ে ক্যাপ্টেনের ভরসাও রাখেন মুকেশ।

India vs South Africa: দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো বোলিংয়ের রহস্য কী? জানালেন কেপটাউন জয়ের অন্যতম নায়ক
Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jan 07, 2024 | 12:05 AM

কলকাতা: দক্ষিণ আফ্রিকা সফর মন্দ-ভালোয় শেষ হয়েছে ভারতের জন্য। টি-টোয়েন্টি সিরিজে যুগ্মবিজয়ী হয়েছিল ভারত। ওয়ান ডে সিরিজে জয়। দু-ম্যাচের টেস্ট সিরিজই ছিল আসল পরীক্ষা। সেঞ্চুরিয়নে ইনিংস ও ৩২ রানে হেরেছিল ভারত। এর মূল কারণ ব্যাটিং ব্যর্থতা। প্রথম ইনিংসে লোকেশ রাহুল সেঞ্চুরি করেছিলেন। বিরাট, শ্রেয়সরা সেট হলেও বড় ইনিংস আসেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিভাগ ডাঁহা ফেল। একলা লড়াই দেখা গিয়েছিল বিরাটের ব্যাটে। কেপটাউন দুর্গে অনবদ্য জয়ে সিরিজে যুগ্মবিজয়ী ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। কেপটাউন জয়ে ভারতের অন্যতম নায়ক। বোলিং নিয়ে নানা বিষয়েই জানালেন। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

সীমিত ওভারের ক্রিকেটে জাতীয় দলে ক্রমশ জায়গা পাকা করছেন বাংলার পেসার মুকেশ কুমার। তবে লাল বলে যে আরও বেশি বিধ্বংসী, প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটেই তা প্রমাণ করেছেন। গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মুকেশের। প্রোটিয়া সফরেও স্কোয়াডে ছিলেন। যদিও প্রথম টেস্টে তাঁকে একাদশে রাখা হয়নি। অভিষেক হয় প্রসিধ কৃষ্ণার। দাগ কাটতে পারেননি। সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটাররা কেপটাউনে মুকেশকে চাইছিলেন। বুমরা, সিরাজ, প্রসিধের সঙ্গে খেলানো হয় মুকেশকেও। বুমরা, সিরাজের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সঙ্গে দারুণ সাপোর্ট মুকেশের। নিউল্যান্ডসে চার উইকেট নেন বাংলার এই পেসার।

দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে বোলিংয়ের অভিজ্ঞ নিয়ে মুকেশ বলছেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিল, আশাকরি তা পূরণ করতে পেরেছি। নিজের বোলিংয়ে সন্তুষ্ট। সবচেয়ে বেশি যেটা ভালো লেগেছে, সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’ সেঞ্চুরিয়ন ও কেপটাউনের পিচ অনেকটাই আলাদা ছিল। সেঞ্চুরিয়নে ব্যাপক বাউন্স। কেপটাউনে কিছু বল হাঁটু অবধি উঠছিল, আবার কোনওটা অনেক লাফিয়েছে। পিচের এই অসমান বাউন্সে ফুল লেন্থ বোলিং করলে লাভ হত না বলেই মনে করেন মুকেশ। যোগ করলেন, ‘ভারতের পিচের সঙ্গে ব্যাপক পার্থক্য। ভারতে ফুল লেন্থ চেষ্টা করলে বল হাওয়ায় সুইং হয়। কিন্তু কেপটাউনে ফুল করলে শাস্তি পেতে হবে। সে কারণেই ব্যাক অব লেন্থ করার চেষ্টা করেছি।’

মুকেশ কুমারের কিছু ডেলিভারি প্রতিপক্ষ ব্যাটারকেই শুধু নয়, ভারতীয় শিবিরকেও চমকে দিয়েছে। গুডলেন্থ স্পট থেকেও বল হঠাৎই লাফিয়ে উঠেছে। তাঁর বোলিংয়ে চাপও তৈরি হয়েছিল প্রোটিয়া শিবিরে। প্রথম ইনিংসে ২ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকেই প্রথম পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করেন রোহিত। জোড়া উইকেট নিয়ে ক্যাপ্টেনের ভরসাও রাখেন মুকেশ।