দীপঙ্কর ঘোষাল : ঘরের মাঠে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের কাছে হেরেছিল পঞ্জাব। জয়ে ফিরল তারা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মাঠে অবিশ্বাস্য জয়। টিম গেমে জয় হলেও আলাদা করে উল্লেখ করতে হয় অর্শদীপ সিংয়ের কথা। অথর্ব তাইডের অনবদ্য ক্যাচে সূর্যকুমার যাদবের আউট। অর্শদীপ সিংয়ের শেষ ওভারে দু-বার স্টাম্প টুকরো করা। এর কথা না বললেই নয়। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে ২১৫ রানের বড় লক্ষ্য ছিল। শেষ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ রান। তিলক ভার্মা, টিম ডেভিড ক্রিজে। জেতা কঠিন নয়। বোলিংয়ে এলেন অর্শদীপ সিং। শেষ ওভারে তাঁর বোলিং পরিসংখ্য়ান ১,০, W,W,০,১। অর্শদীপের আগুনে বোলিংয়ে ১৩ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় পঞ্জাব কিংসের। কাঁধের চোটে খেলতে পারছেন না শিখর ধাওয়ান। এই নিয়ে তৃতীয় ম্যাচ মিস করলেন শিখর। স্যাম কারানের নেতৃত্বে ওয়াংখেড়েতে রুদ্ধশ্বাস একটা জয় ছিনিয়ে নিল পঞ্জাব। ম্যাচের সেরার পুরস্কার স্যাম কারানের ঝুলিতে। ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৯ বলে ৫৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন স্যাম। তাঁর মুখেও অর্শদীপ বন্দনা। দলকে জিতিয়ে বাঁ হাতি পেসারই বা কী বললেন, বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ম্য়াচ জেতানো পারফরম্য়ান্স অর্শদীপের। ৪ ওভারে মাত্র ২৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট। অথচ একটা সময় তাঁকে নো-বলের নবাবও বলেও বিদ্রুপ করা হত। ম্য়াচ শেষে অর্শদীপ বলছেন, ‘উইকেট নিলে অবশ্যই ভালো লাগে। আইপিএলের আগে রান-আপে কিছু পরিবর্তন করি। যার ফলে নো-বল করা থেকে নিজেকে আটকাতে পেরেছি। ক্রিকেটকে আরও অনেক বেশি উপভোগ করছি। ছন্দটাও দারুণ রয়েছে।’ শেষ ওভারে মাত্র ১৬ রান ডিফেন্ড করতে হত। কোনও স্নায়ুর চাপ হয়নি? অর্শদীপ যোগ করলেন, ‘আমি বরাবরই মাথা ঠান্ডা রাখা মানুষ। আমার হৃদস্পন্দন ১২০ ওপর যায় না।’ বলেই হেসে ফেলেন অর্শদীপ।
ম্যাচের সেরা পঞ্জাব অধিনায়ক স্যাম কারান বলেন, ‘মনে হয় না ম্যাচের সেরার পুরস্কারটা আমার পাওয়া উচিত। আমাদের পেসাররা যে ভাবে ম্যাচ ফিনিশ করেছে। বিশেষ করে বলতে হয় অর্শদীপ সিং এবং নাথান এলিসের কথা। স্পিনাররাও দারুণ বোলিং করেছে।’ নিজের নেতৃত্ব প্রসঙ্গে বলছেন, ‘তিন ম্যাচে দুটো জয়, মন্দ নয়। তবে দ্রুত শিখরকে নেতৃত্বে চাই। ওর অভিজ্ঞতা আমাদের সম্পদ।’