আমেদাবাদ: নিউজিল্যান্ড কি ভারতের মাটিতে ইতিহাস গড়তে পারবে! সঙ্গে এই প্রশ্নও করা যায়, ভারত সেই ইতিহাস গড়া আটকাতে পারবে কী না। ভারতের মাটিতে নিউজিল্য়ান্ড কখনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জেতেনি। সেটা যে ফরম্যাটেই হোক না কেন। ২০১২ বালে ১ ম্যাচের ‘সিরিজ’ জিতেছিল মাত্র। তবে সেটাকে সিরিজ হয়তো বলা যায় না। এ বার রাঁচিতে প্রথম ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে ছিল নিউজিল্যান্ড। লখনউতে কঠিন পিচে ম্যাচ জিতে সমতা ফিরিয়েছে ভারত। মাত্র ১০০ রান তাড়া করতে নেমেও জয়ের জন্য শেষ ওভার অবধি অপেক্ষা করতে হয়েছে। গত দু-ম্যাচের পিচ নিয়েই অসন্তোষ ছিল। বিশেষত লখনউয়ের পিচ নিয়ে। আমেদাবাদে হাই স্কোরিং ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ভারত-নিউজিল্যান্ড তৃতীয় টি-টোয়েন্টির প্রিভিউ TV9Bangla-য়।
ওয়ান ডে সিরিজে নিউজিল্য়ান্ডকে ক্লিন সুইপ করেছে ভারত। টি-টোয়েন্টি সিরিজে সেটা সম্ভব নয়। সিরিজ সমতায়। শেষ ম্যাচ কার্যত ফাইনাল। যে জিতবে সিরিজ তার। ঘরের মাঠে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জেতা কার্যত অসম্ভব। গত দশ বছরের পরিসংখ্যান তাই বলছে। সব ফরম্য়াট মিলিয়ে গত দশ বছরে ঘরের মাঠে ৫৫টি সিরিজ খেলেছে ভারত। এর মধ্যে জয় ৪৭টি সিরিজে। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়া এবং ২০১৫ তে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছিল। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারও এই প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন। এ বছর ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। এই সিরিজ দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও সেরে নিচ্ছে তারা।
গত দু-ম্যাচের পিচ নিয়ে অস্বস্তি থাকলেও আমেদাবাদে হাইস্কোরিং ম্যাচের সম্ভাবনা বেশি। গত তিন ম্যাচে ১৬০-র বেশি স্কোর হয়েছে। এর মধ্যে এক ম্যাচে ২২৪-২ স্কোরও হয়েছিল। ভারত অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে সব দিক থেকেই হোম গ্রাউন্ড। গুজরাট টাইটান্সের হয়ে আইপিএলের ম্যাচগুলি খেলেছেন এই মাঠে। আইপিএলে অভিষেকে হার্দিকের নেতৃত্বেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টাইটান্স। জাতীয় দলের নেতা হিসেবে এখনও অবধি সিরিজ হারেননি হার্দিক। নির্ণায়ক ম্যাচে ভারতের একাদশে কোনও পরিবর্তন হবে কী না, এ বিষয়ে অবশ্য নিশ্চিত করেনি টিম। সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন সহ অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। একাদশে বদল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই তাঁর দাবি। মনে করা হচ্ছে ঈশান এবং শুভমন দু-জনেরই পারফরম্য়ান্স নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনবদ্য ছন্দে থাকা পৃথ্বী শ-কে সুযোগ দেওয়া হতে পরে। তেমনই এক স্পিনার বসিয়ে, এই ম্যাচে ফেরানো হতে পারে উমরান মালিককে।
এই ম্যাচে আরও একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। সদ্য অনূর্ধ্ব ১৯ মেয়েদের বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। মেয়েদের ক্রিকেটে এটিই প্রথম আইসিসি ট্রফি। বিশ্বজয়ী দলকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার রাতেই আমেদাবাদে পৌঁছে গিয়েছেন অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বজয়ী দলের ক্রিকেটাররা।