নয়াদিল্লি : দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ ভারত-পাকিস্তান (India vs Pakistan) দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। কিছুদিন আগেই এশিয়া কাপে দু-বার মুখোমুখি হয়েছে ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেট দল। একটি করে জয়। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ (T20 World Cup 2022)। ভারত নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেই। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আগামী পাঁচ বছরেও ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট নেই। ২০২৩-২৭ অবধি ফিউচার টুর প্রোগ্রাম সমস্ত রাজ্য সংস্থাকে পাঠিয়েছে বোর্ড (BCCI)। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হোম-অ্যাওয়ে কোনও সিরিজই নেই। মাল্টি-নেশন টুর্নামেন্টের পাশাপাশি ২০২৩-২০২৭ সাইকেলে ভারত ৩৮টি টেস্ট খেলবে। এর মধ্যে ২০টি হোম ম্যাচ। বাকি ১৮ টেস্ট বিদেশে। ৪১টি ওয়ান ডে (২১টি করে হোম ও অ্যাওয়ে) এবং ৬১টি টি-টোয়েন্টি (৩১টি হোম, ৩০টি অ্যাওয়ে ম্যাচ) খেলবে ভারত।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বোর্ডের নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের সবুজ সংকেত পেলে তবেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ সম্ভব। গত সাইকেলের চেয়ে এ বার অনেক কম ম্যাচ খেলবে ভারত। সব ফরম্যাট মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৬৩ থেকে ১৪১ নেমেছে। আগামী সাইকেলে প্রতিবছরই আইসিসি ইভেন্ট থাকছে। আইপিএলের জন্য ৭৫-৮০ দিনের একটা উইন্ডো রাখা থাকছে। ম্যাচ সংখ্যা কমলেও অনেক বেশি আকর্ষণীয় ক্রিকেটের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। যেমন, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অনেক বেশি টেস্ট এবং সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলবে ভারত। হোম এবং অ্যাওয়ে দুই সিরিজই থাকছে।
সূত্রের খবর বোর্ডের তরফে যে সার্কুলার দেওয়া হয়েছে, সেখানে উল্লেখ রয়েছে, ‘প্রতি দু-বছর অন্তর ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। সীমিত ওভারের সিরিজও হবে। এ ছাড়াও শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সিরিজ থাকছে।’ নিউজিল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে সমর্থকদের আগ্রহ বেশি দেখে এই দুই দলের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ রাখা হচ্ছে। সার্কুলার অনুযায়ী বলা যায়, এফটিপি তৈরির ক্ষেত্রে বোর্ড মূলত তিনটি বিষয় মাথায় রাখছে। আন্তর্জাতিক সূচিতে ভারসাম্য, যৌক্তিকতা এবং শক্তিশালী প্রতিপক্ষ।