কলকাতা: চলতি রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) বাংলার (Bengal) অপরাজিত থাকার দৌড় থামাল ওড়িশা (Odisha)। এ বারের রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনাল বাংলার যেহেতু আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল, তাই ওড়িশার বিরুদ্ধে ইডেনে এই ম্যাচটা মনোজ তিওয়ারিদের কাছে নক আউটের একটা ট্রায়াল ম্যাচ ছিল। তা খুব একটা স্বস্তি দিল না বাংলাকে। এ বারের রঞ্জিতে প্রথম হারের মুখ দেখল লক্ষ্মীরতন শুক্লর বাংলা। ওড়িশার বিরুদ্ধে প্রথম দিন থেকেই বাংলা অস্বস্তিতে ছিল। প্রথম দিন পিচ ভেজা থাকায় চার ঘণ্টা দেরিতে ম্যাচ শুরু হয়েছিল। তার পর দ্বিতীয় দিন কভারে ফিল্ডিং করতে গিয়ে অনুষ্টুপ মজুমদার চোট পান। এরপর যদিও বাংলা টিম ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছিল, অনুষ্টুপ ব্যাট করবেন। তবে শেষ অবধি দু’টো ইনিংসেই ব্যাট হাতে নামেননি তিনি। এটা পরিষ্কার যে, নিয়মরক্ষার ম্যাচে ঝুঁকি না নিতেই অনুষ্টুপ ব্যাট করেননি। সব মিলিয়ে চতুর্থ দিন ৭ উইকেটে বাংলাকে হারাল ওড়িশা। এই ম্যাচে হেরে নকআউটের আগে একঝাঁক চিন্তা বাড়ল বাংলা শিবিরে। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla-র এই প্রতিবেদনে।
দ্বিতীয় ইনিংসে ফলো অন খাওয়ার পর অভিমন্যু ঈশ্বরণ ও সুদীপ ঘরামি জুটি বাংলাকে কিছুটা ভরসা দিয়েছিল। এরপর তৃতীয় দিনের শেষে অভিমন্যু ও মনোজের অবিচ্ছিন্ন জুটি ১০৩ রান যোগ করে। এই জুটি যতক্ষণ ক্রিজে ছিল বাংলার আশা ছিল ম্যাচটা ঘুরে যেতে পারে বাংলার দিকে। এর পর ১০ রানের ব্যবধানে মনোজ ও অভিমন্যু আউট হওয়ার পর বাংলার ব্যাটিং বিপর্যয় হয়। বাকিরা আর ভরসা দিতে পারেননি। ওড়িশার বিরুদ্ধে বাংলা একজন কম ব্যাটার নিয়ে খেলেছে।
অনুষ্টুপের ব্যাট করতে না পারাটা বাংলার কাছে বড় ধাক্কার হল। চলতি রঞ্জি মরসুমে অনুষ্টুপ যথার্থই বাংলার ক্রাইসিস ম্যান। বাংলা এই মরসুমে এখনও অবধি অপরাজিত ছিল অনেকটাই অনুষ্টুপের একাধিক দারুণ ইনিংসের জন্য। ওড়িশার কাছে হারের পর বাংলার সামনে এখন একঝাঁক চিন্তা। যেমন – অনুষ্টুপের আঙুলের চোট কতটা গুরুতর। আকাশদীপ কনকাশন হয়েছিল। ফলে, অনুষ্টুপ-আকাশদীপরা নকআউটের আগে ফিট হয়ে উঠতে পারবেন কিনা।
অনুষ্টুপকে ছাড়া বাংলার ব্যাটিং লাইন আপ খাপছাড়া দেখিয়েছে। অভিমন্যু ঈশ্বরণ চতুর্থ দিন সেঞ্চুরি করেছেন ঠিকই, মনোজের সঙ্গে আরও কিছুক্ষণ থেকে যেতে পারলে বাংলার লাভই হত। শাহবাজ আহমেদ এই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের জন্য জাতীয় দলের সঙ্গে রয়েছেন। ফলে তাঁকেও বাংলা পায়নি ওড়িশার বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে ওড়িশার বিরুদ্ধে গোছানো বাংলাকে দেখা গেল না।