কোচি : বিশ্বের সেরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলার স্বপ্ন কে না দেখেন! সব ক্রিকেটারের প্রত্যাশা পূরণ হয় না। এ বার আইপিএলের মিনি অকশনেও সব মিলিয়ে ৪০৫ জন প্লেয়ার রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। দল পাবেন এই প্রত্য়াশাতেই রেজিস্ট্রেশন করা। সকলের প্রত্যাশা পূরণ হবেই, তা নয়। ইংল্যান্ডের নতুন সেনসেশন ফিল সল্টও রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন। তাঁর বেস প্রাইস ছিল ভারতীয় মুদ্রায় ২ কোটি টাকা। তাঁর জন্য প্রথম বিড করে দিল্লি ক্যাপিটালস। শেষ অবধি বেস প্রাইসেই দিল্লিতে সল্ট। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তবে সাদা বলের ফর্ম্যাটে দেশের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সল্টের। ভয়ডরহীন ব্য়াটিংয়ের জন্যই পরিচিত। দক্ষ উইকেটকিপারও। দেশের হয়ে ১৩টি আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন ইংল্য়ান্ডের এই ক্রিকেটার। সর্বাধিক স্কোর অপরাজিত ৮৮। টি-২০ বিশ্বকাপের ঠিক আগেই পাকিস্তান সফরে এই ইনিংস খেলেছিলেন সল্ট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা কম হলেও টি-২০ ফর্ম্যাটে অতি পরিচিত নাম ফিল সল্ট। সব মিলিয়ে ১৬৭টি ম্যাচে ৩৮১৭ রান। সর্বাধিক স্কোর ৮৮। ব্যাটিং গড় প্রায় ২৫। কিন্তু স্ট্রাইকরেট নজরকাড়া। ১৬৭ টি ম্যাচের পরও ১৫০-র উপর স্ট্রাইকরেট ধরে রাখা সহজ নয়।
ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টি-২০ লিগের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ, শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ, পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগ, ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের মতো বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ফিল সল্টের। ওয়েলসে জন্ম হলেও ফিল সল্টের বেড়ে ওঠা বার্বাডোজে। একটা সময় অবধি তাঁর আগ্রহ ছিল ফুটবল নিয়েই। ফুটবলে ম্যান সিটির ভক্ত। পেপ গুয়ার্দিওলা ম্যান সিটির কোচ হওয়ার পর প্রত্যাশায় ছিলেন বার্সেলোনা থেকে লিওনেল মেসিও সিটিতে যোগ দেবেন। এমন প্রত্যাশার কথা টুইটারে লিখেওছিলেন সল্ট। বার্বাডোজে থাকার সুবাদেই হয়তো ক্রিকেটের প্রতি টান বাড়ে। ক্য়ারিবিয়ানদের মতোই বিধ্বংসী ব্য়াটিংয়ে নজর। বিভিন্ন টি-২০ ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের পাশাপাশি টি-১০, ইংল্য়ান্ড্রের দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টেও খেলেছেন।
আইপিএল নিলামের লাইভ (IPL AUCTION LIVE) আপডেট দেখতে নজর রাখুন টিভি নাইন বাংলা ডিজিটালে।