T20 World Cup 2024: সুপার এইটে উঠতেই ফর্মে ইংল্যান্ড, KKR-এর ওপেনার সল্ট উড়িয়ে দিলেন হট ফেভারিটকে
West Indies vs England: টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স যা ছিল, সুপার এইটে উঠতেই তাতে বড় বদল এসেছে। এ বারের বিশ্বকাপের যুগ্ম আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ড্যারেন সামি স্টেডিয়ামে এ বার ক্যারিবিয়ানদের উড়িয়ে দিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
কলকাতা: বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে চারে ৪ জয়ের পর সুপার এইটে উঠেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ইংল্যান্ডকে এক্কেবারে শেষ অবধি অপেক্ষা করতে হয়েছিল সুপার এইটের টিকিটের জন্য। অস্ট্রেলিয়া-স্কটল্যান্ড ম্যাচের উপর অনেকটাই নির্ভর করছিল ইংল্যান্ডের সুপার এইটে ওঠা। তাই বলাই যায় টি-২০ বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2024) গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স উজ্জ্বল ছিল না। কিন্তু সুপার এইটে উঠতেই এ যেন এক অন্য ইংল্যান্ড। সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের হট ফেভারিট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়িয়ে দিল ইংল্যান্ড। নেপথ্যে যাঁর নাম না বললেই নয়, তিনি ফিল সল্ট। কেকেআরের হয়ে এ বারের আইপিএলে এই ওপেনার যে ছন্দে ছিলেন, সেটাই তুলে ধরেছেন ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে।
টস জিতে প্রথমে ক্যারিবিয়ানদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন জস বাটলার। গ্রুপ পর্বে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখানো ক্য়ারিবিয়ানরা সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনও ক্রিকেটার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি।
ক্যারিবিয়ানদের হয়ে সর্বাধিক রান করেন ওপেনার জনসন চার্লস (৩৮)। ক্যাপ্টেন রোভম্যান পাওয়েল ৩৬ রান করেন এবং উইকেটকিপার ব্যাটার নিকোলাস পুরানও ৩৬ রান করেন। ২৩ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট চলেনি। ১ রানে ফেরেন তিনি। ২৮ রানে নট আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন শেরফান রাদারফোর্ড এবং ৫ রানে অপরাজিত থাকেন রোমারিও শেফার্ড। শেষ অবধি ৪ উইকেটে ১৮০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১টি করে উইকেট নেন জোফ্রা আর্চার, আদিল রশিদ, মইন আলি ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
১৮১ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে জস বাটলার ও ফিল সল্টের ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৬৭ রান। ৭.৪ ওভারে রস্টন চেজ এলবিডব্লিউ করে ফেরান ইংল্যান্ডের ক্যাপ্টেন জস বাটলারকে(২৫)। এরপর মইন আলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন সল্ট। ইনিংসের মাঝপথে আন্দ্রে রাসেল ফেরান মইন আলিকে (১৩)। ততক্ষণে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে উঠেছে ৮৪ রান। এরপর সল্ট ও জনি বেয়ারস্টোর জুটিতেই ম্যাচ জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় উইকেটে সল্ট-বেয়ারস্টোর ৯৭ রানের অপরাজিত পার্টনারশিপে জেতে ইংল্যান্ড। ৪৭ বলে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন সল্ট। আর ২৬ বলে ৪৮ রানে নট আউট থাকেন বেয়ারস্টো। ১৫ বল বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে নয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।