সিডনি : নকআউটের আগেই ‘নক আউট’ এর স্বাদ। টি-টোয়েন্টি (T20 World Cup 2022) বিশ্বকাপে আজ পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ তাই। একটা জয় মানেই পাকিস্তানের (Pakistan) কাছে লাইফলাইন। হারলে আর কোনও অঙ্কেই থাকবে না তারা। এ বারের মতো সেমিফাইনালের দৌড় থেকে বিদায়। তেমনই এই ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa)। দু-দলের কাছে ভিন্ন আঙ্গিকে এই ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকা হারলেও তাদের কাছে আরও একটা সুযোগ থাকবে। পাকিস্তান হারলে পরের ম্যাচ তাদের কাছে স্রেফ নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াবে। ভারতের মতো শক্তিশালী এবং টুর্নামেন্টের ফেভারিট দলকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসে ফুটছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এ বারের বিশ্বকাপে সুপার ১২ পর্বে এখনও অবধি একমাত্র অপরাজিত দল দক্ষিণ আফ্রিকা। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বৃষ্টি বাধা হয়ে না দাঁড়ালে পুরো পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারত তারা। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি সম্পূর্ণ না করা যাওয়ায় পয়েন্ট ভাগ হয়। এই জিম্বাবোয়ের কাছে হেরেই বিপদ বাড়ে পাকিস্তানের। ঘরে-বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন পাকিস্তান ক্রিকেটাররা। অধিনায়ক বাবর আজম টুর্নামেন্টে ব্যাট হাতেও ব্যর্থ। নেতৃত্বেও তাঁর নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরনোর একটাই রাস্তা, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে সেমিফাইনালের সামান্য আশা জিইয়ে রাখা।
পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচটিকে মূলত গতির লড়াই হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এ বারের বিশ্বকাপে গতিতে নজর কেড়েছেন প্রোটিয়া পেসার অনরিখ নর্টজে। ভারতের বিরুদ্ধে অনবদ্য বোলিং করেছেন লুনগি এনিগিডিও। রয়েছেন কাগিসো রাবাডা। তেমনই পাকিস্তান শিবিরে নাসিম শাহ, শাহিন আফ্রিদি এবং হ্যারিস রউফের মতো এক্সপ্রেস গতির পেসার। ম্যাচটি পারথে হলে, আরও জমজমাট হত। সিডনিতেও দু-দলের ব্যাটসম্য়ানরা গতির লড়াইয়ে কতটা ভাল পারফর্ম করেন, সে দিকেই নজর থাকবে। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কুইন্টন ডি’কক, ডেভিড মিলাররা দারুণ ছন্দে। টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যেই একটি শতরানের ইনিংস খেলেছেন রাইলি রোসো। উল্টোদিকে, পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে রানের খরা। সিডনিতে যে দল ভাল ব্যাটিং করবে, তারই ভাগ্য নির্ধারণ। হয় এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সেমিফাইনাল, নয় এক ম্যাচ বাকি থাকতে বিদায়।
পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, দুপুর ১.৩০