রঞ্জি ট্রফি এ বার দুই পর্বে। প্রথম পর্বে গ্রুপ লিগের পাঁচটি করে ম্যাচ খেলেছে এলিট গ্রুপের দলগুলি। বাংলার শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি। আবহাওয়াও বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। পরের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলা। দ্বিতীয় পর্ব শুরুতে অর্থাৎ ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে এখনও অবধি অ্যাডভান্টেজ বাংলাই। গ্রুপ সি-র শীর্ষে থাকা হরিয়ানার বিরুদ্ধে খেলছে বাংলা। ম্যাচের প্রথম দিন বাংলার বোলারদের দাপট। অপেক্ষা এ বার ব্যাটারদের থেকে ভালো পারফরম্যান্সের।
কল্যাণীতে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে হরিয়ানার বিরুদ্ধে খেলছে বাংলা। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার। জাতীয় দলে থাকায় এই ম্যাচে খেলতে পারছেন না বাংলার সেরা পেসার মহম্মদ সামি। চোটের জন্য নেই আকাশদীপও। একাদশে নেই অভিমন্যু ঈশ্বরণও। সামি না থাকলেও তাঁর ভাই মহম্মদ কাইফ রয়েছেন। মুকেশ কুমারের মতো অভিজ্ঞ পেসারও রয়েছেন বাংলা টিমে। যদিও প্রথম দিন উজ্জ্বল তরুণ পেসার সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল।
প্রথম ইনিংসে হরিয়ানাকে মাত্র ১৫৭ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে বাংলা। তিন পেসার মিলেই প্রতিপক্ষর ১০ উইকেট নেয়। সূরজ সিন্ধু জয়সওয়াল একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট! এ ছাড়াও মুকেশ কুমারের ঝুলিতে ২ উইকেট। ২টি উইকেট নিয়েছেন সামির ভাই মহম্মদ কাইফ। হরিয়ানার হয়ে উল্লেখযোগ্য রান ক্যাপ্টেন অঙ্কিত কুমার (৫৭), নিশান্ত সিন্ধু (২৪) এবং কিপার ব্যাটার রোহিত শর্মার (২২)। লোয়ার অর্ডারকে দাঁড়াতেই দেননি বাংলার পেসাররা।
হরিয়ানার ১৫৭ রানের জবাবে বাংলার শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। চতুর্থ ওভারেই ওপেনার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়কে ফেরান সুমিত কুমার। বাংলার মিডল অর্ডার অবশ্য শক্তিশালী। তবে শুরুর দিকে রান না উঠলে কাজটা কঠিন হবে। হরিয়ানা টিমে অংশুল কম্বোজের মতো পেসার রয়েছেন। প্রথম দিনের শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ১০ রান তুলেছে বাংলা।