মরসুমের প্রথম জয়, প্রথম ছয়। এ মরসুমে শুরু থেকেই নানা বাধার সম্মুখীন হয়েছে বাংলা। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল। সেখানে ছয়ের সম্ভাবনা থেকেও শেষ অবধি তিন পয়েন্ট জোটে। সবচেয়ে হতাশার ছিল ঘরের মাঠে দুটো ম্যাচ। কল্যাণীতে বিহারের বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল। মাত্র আড়াই ঘণ্টার বৃষ্টিতে ম্যাচের চারদিনই নষ্ট। এরপর কেরলের বিরুদ্ধে হোম ম্যাচেও বৃষ্টির বাধা। দু-দলের ইনিংস সম্পূর্ণ না হওয়ায় এক পয়েন্ট। ঘরের মাঠে দু-ম্যাচে দু-পয়েন্ট বাংলাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছিল। গত ম্যাচে কর্নাটকের বিরুদ্ধেও তিন পয়েন্ট। ছয়ের আশায় হা-পিত্যেশ করছিল বাংলা। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেও কষ্টার্জিত জয়ে কাঙ্খিত ছয় পয়েন্ট বাংলার ঝুলিতে।
রঞ্জি ট্রফি এ বার দুটি পর্বে হবে। প্রথম পর্বে পাঁচটি করে ম্যাচ। এরপর সৈয়দ মুস্তাক আলি টুর্নামেন্ট রয়েছে। রঞ্জির গ্রুপের বাকি ম্যাচ এবং নকআউট নতুন বছরে শুরু হবে। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেও বাংলার ছয় ছিল খুবই সামান্য ব্যবধানে। ১১ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় বাংলার। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২২৮ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলা। জবাবে প্রথম দিনের শেষে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান তুলে নিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ। সেখান থেকে সামির অনবদ্য বোলিংয়ে মধ্যপ্রদেশকে ২২৮ রানেই গুটিয়ে দেয় বাংলা।
শেষ অবধি মধ্যপ্রদেশকে ৩৩৮ রানের বড় টার্গেট দিয়েও স্বস্তিতে ছিল না বাংলা। একের পর এক পার্টনারশিপ গড়ে বাংলাকে চাপে ফেলেছে মধ্যপ্রদেশ। টপ অর্ডার রান করেছেন। ক্যাপ্টেন শুভম শর্মা হাফসেঞ্চুরি করেছেন। বাংলার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও মধ্যপ্রদেশের লোয়ার অর্ডার। শেষ অবধি কুমার কার্তিকেয়কে ফিরিয়ে বাংলার জয় নিশ্চিত করেন সামি।
প্রথম ইনিংসে চার উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংয়ে তিন। সামির সাথ ও সাতে বাংলার ঝুলিতে ছয় পয়েন্ট। দ্বিতীয় ইনিংসে সামিকে সহযোগিতা করেছেন বাকিরাও। বাঁ হাতি স্পিনার শাহবাজ আহমেদ ৪, তরুণ পেসার রোহিত কুমার দু-উইকেট নেন। পাঁচ ম্যাচে বাংলার ঝুলিতে মোট ১৪ পয়েন্ট।