ইন্দোর: বাংলার হয়ে বোলিং ওপেন কে করবেন! অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি প্রথমে বল তুলে দিলেন করণ লালের হাতে। বোলিং রান আপে প্রস্তুত ছিলেন করণ। মাইন্ড চেঞ্জ করলেন মনোজ। শাহবাজকে দিয়ে বোলিং ওপেন। উইকেটের পিছন থেকে লাগাতার ‘স্লেজিং’ অভিষেক পোড়েলের। মোদ্দা কথা, ১৫০ ওভার ফিল্ডিং করার পর ব্যাটিং সহজ নয়, এটাই বারবার বলে যাচ্ছিলেন। খুব একটা ভুল নয়। রঞ্জি সেমিফাইনালে পৌঁছলেও এ মরসুমে ইনিংসে ৩৩১-র বেশি স্কোর করতে পারেনি মধ্যপ্রদেশ। প্রথম ইনিংসে সামনে ৪৩৮ রান! পরিসংখ্যান অনুযায়ী মধ্যপ্রদেশের কাছে বিশাল স্কোর। শুরুতেই একদিক থেকে স্পিন, উল্টোদিকে পেস। রঞ্জি ট্রফি সেমিফাইনালে বাংলা বনাম মধ্যপ্রদেশ দ্বিতীয় দিনের খেলা, বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
প্রথম দিনের শেষে দুই শতরানকারীকে হারানোয় কিছুটা অ্যাডভান্টেজ হারিয়েছিল বাংলা। দ্বিতীয় দিনও শুরুতে শাহবাজ আহমেদের উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলা। তবে মনোজ তিওয়ারি (৪২), অভিষেক পোড়েলের (৫১) গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। প্রথম দিন অনুষ্টুপ, সুদীপের শতরান এবং সম্মিলিত অবদানে প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রান করে বাংলা। তবে বাংলার ব্য়াটিং লাইন আপ এবং শক্তি অনুযায়ী বলা যায়, অন্তত ৫০০ রান করা উচিত ছিল। মাত্র ৩৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় বাংলা। মধ্যপ্রদেশ মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকতে পারে একটা কথা ভেবেই, বাংলাকে ৪৫০-র নীচে আটকে রাখা গিয়েছে! গত বারের চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশ। চন্দ্রকান্ত পন্ডিত প্রথম বার কোচের দায়িত্ব নিয়েই চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। এ বার তাঁর দলকে চাপে রাখল মনোজ তিওয়ারি, লক্ষ্মীরতন শুক্লার বাংলা।
বাংলা এই ম্যাচে স্পিন আধিক্য় একাদশ গড়েছে। তাঁদের সকলেই ব্য়াটিং করতে পারেন। ম্যাচের দ্বিতীয় দিনই বল যে ভাবে টার্ন করছে তাতে মধ্যপ্রদেশের চাপ বাড়বে সন্দেহ নেই। শাহবাজ আহমেদ বিশাল টার্ন করাচ্ছিলেন। ফ্রন্ট ফুটে ডিফেন্স করতে হিমসিম খাচ্ছিলেন মধ্য়প্রদেশ ওপেনাররা। উইকেট নেওয়া যেন সময়ের অপেক্ষা। শুরুর তৈরি হওয়া চাপে প্রথম উইকেট এল পেসার আকাশ দীপের সৌজন্যে। কট বিহাইন্ড আউট হন যশ দূবে। কিছুক্ষণের ব্যবধানে নিজের প্রথম ওভারেই বাংলাকে দ্বিতীয় সাফল্য দিলেন ঈশান পোড়েল। ফুলটস ডেলিভারিতে অনুষ্টুপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন হিমাংশু মন্ত্রী। দুই নাইট ওয়াচম্যান শেষ দিকে সময় নষ্ট করার চেষ্টা করে গেলেন। দিনের শেষে মধ্যপ্রদেশের স্কোর ৫৬-২। এখনও তারা পিছিয়ে ৩৮২ রানে।