ওয়াংখেড়েতে দুর্দান্ত বোলিং রবীন্দ্র জাডেজার। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের সিরিজে ০-২ পিছিয়ে ভারত। বেঙ্গালুরুতে প্রথম ইনিংসে ভারত মাত্র ৪৬ রানেই অলআউট হয়েছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন ছিল। আবারও প্রত্যাশা করা হয়েছিল রবীন্দ্র জাডেজা ব্যাট হাতে বিরাট ইনিংস খেলে বাঁচিয়ে দেবেন। তা যদিও হয়নি। গত দুই টেস্টে বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও কিছুটা অস্বস্তিতে দেখিয়েছে জাড্ডুকে। মুম্বইতে স্বমহিমায় জাডেজা। নিলেন কেরিয়ারের ১৪তম ফাইফারও। এর সঙ্গে গড়লেন রেকর্ডও।
পুনেতে স্পিন সহায়ক পিচেও সুবিধা করতে পারেননি রবীন্দ্র জাডেজা। দীর্ঘ এক যুগ পর ঘরের মাঠে সিরিজ হার। নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরে প্রথম সিরিজ হার। এর পরই জাডেজা-অশ্বিনকে নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। সাংবাদিক সম্মেলনে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এই দু-জনের পারফরম্যান্স চিন্তায় রাখছে কিনা! রোহিত পরিষ্কার জানিয়েছিলেন, এই দু-জন দেশের জার্সিতে দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিক পারফর্ম করে প্রত্যাশা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। একটা-দুটো ম্যাচ যে কারও খারাপ যেতে পারে। ভরসা দেখিয়েছিলেন দুই সিনিয়র সদস্যর উপর। তারই মর্যাদা দিলেন জাড্ডু।
স্পিন ট্র্যাকে যে কোনও স্পিনারই ভয়ঙ্কর। কিন্তু জাডেজা আরও বেশি। ওয়াংখেড়েতে প্রথম দিনই বল ঘুরছে। জাডেজার বিশেষত্ব, ঘূর্ণি পিচেও সোজা বল করতে পারেন। যা সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে ফেলে। অনেকে ব্যাটারই টার্নের জন্য খেলতে যান, কিন্তু বল সোজা উইকেটে কিংবা প্যাডে। বোল্ড এবং লেগ বিফোরে উইকেট সংখ্যাও বাড়ে। এই পদ্ধতিতেই সাফল্য ওয়াংখেড়ের প্রথম ইনিংস। এর সঙ্গেই রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ রানের মাইলফলক বাংলাদেশ সিরিজেই পেরিয়েছিলেন জাডেজা। এ দিন জাহির খান (৩১১) ও ইশান্ত শর্মাকে (৩১১) ছাপিয়ে টেস্ট উইকেটের নিরিখে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে পঞ্চম স্থানে উঠে এলেন রবীন্দ্র জাডেজা।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট অনিল কুম্বলের। এরপরই রয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কিংবদন্তি কপিল দেব। চতুর্থ স্থানে হরভজন সিং। জাডেজা রয়েছেন তাঁর পরই। যদিও হরভজনের (৪১৭) সঙ্গে জাডেজার (৩১৪) দূরত্ব অনেকটাই।