কী করলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু আইপিএলে সাফল্য পাবে? এ যেন এমন প্রশ্ন, যার কোনও উত্তর নেই। অনেক ভাবেই চেষ্টা করা হয়েছে। সমস্যার সুরাহা হয়নি। ২০০৮ সালে শুরু হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। প্রতিবারই তারকা সমৃদ্ধ শক্তিশালী দল গড়ে আরসিবি। এ বারও ব্যতিক্রম নয়। মরসুমের প্রথম ম্যাচে চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হার। দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল আরসিবি। সেখান থেকে ফের খেই হারিয়েছে।
মরসুমে সাতটির মধ্যে ছ’টি ম্যাচেই হার। টানা পাঁচ ম্যাচে হারের পর বিধ্বস্ত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। আগের দিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে মাত্র ২৫ রানে হার। যদিও দীনেশ কার্তিক বিধ্বংসী ইনিংস না খেললে ব্যবধান বাড়ত। তার চেয়েও হতাশার বোলিং। আইপিএলে রেকর্ড গড়েছে সানরাইজার্স। ২০১৩ সাল থেকে আইপিএলে সর্বাধিক স্কোরের রেকর্ড ছিল আরসিবির দখলে। পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ২৬৩ করেছিল তারা। এ মরসুমে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ২৭৭ করেছিল সানরাইজার্স। আরসিবির বিরুদ্ধে ২৮৭!
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে একাধিক পরিবর্তন করেছিল আরসিবি। তাতেও লাভ হয়নি। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে চূড়ান্ত হতাশ অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। বলছেন, ‘খুবই কঠিন পরিস্থিতি। আমরা সবকিছুই চেষ্টা করেছি। নানা ভাবে চেষ্টা করেছি। কিন্তু কিছুই কাজে লাগেনি। এর থেকেই বোঝা যায় প্রতিপক্ষর আত্মবিশ্বাস কোন জায়গায়। আর নিজেদের আত্মবিশ্বাস যখন তলানিতে থাকে, লুকোনোর কোনও জায়গা নেই।’