এত দিন অপেক্ষা ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণার। কিন্তু দল ঘোষণা হতেই যেন অস্বস্তি বেড়েছে ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন দল বাছাই নিয়ে। তাদের ক্ষোভের একটাই জায়গা, রিঙ্কু সিংয়ের মূল স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়া। যোগ্য হয়েও যে বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে জায়গা মেলেনি রিঙ্কুর, একযোগে সকলেই তা স্বীকার করে নিচ্ছেন। ভারতের বিশ্বজয়ী প্রাক্তন ওপেনার মনে করছেন, রিঙ্কুকে দলে নিতে প্রয়োজনে অন্য এক ক্রিকেটারকেও বাদ দেওয়া যেত।
গত বারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বিধ্বংসী পারফরম্যান্সের পরই ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে সুযোগ পান রিঙ্কু সিং। ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় রিঙ্কু সিংয়ের। ১৫ ম্যাচের মধ্যে ১১ ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন। করেছেন ৩৫৬ রান। স্ট্রাইকরেট প্রায় ১৭৭! এ বছর জানুয়ারিতে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও দলে ছিলেন রিঙ্কু। বেঙ্গালুরুতে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৬৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন। সেই রিঙ্কুর প্রথম ১৫-তে জায়গা হল না!
বিশ্বজয়ী ওপেনার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত নিজের ইউটিউব চ্য়ানেলে রিঙ্কুর সুযোগ না পাওয়া নিয়ে বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছে। আর ভারতের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা মনে পড়ে? রোহিত সেঞ্চুরি করল। ভারতীয় দল ২২ রানে চার উইকেট হারিয়েছিল। সেখান থেকে ২১২ রান তোলে। রিঙ্কু গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনিংস খেলেছিল। দেশের হয়ে যেটুকু সুযোগ পেয়েছে, সর্বস্ব দিয়ে পারফর্ম করেছে। এই দল বেছে নেওয়াটা বুঝে পাচ্ছি না। চারটে স্পিনার কী কারণে প্রয়োজন? সকলকেই নিতে হবে! কিছু লোককে খুশি করতেই যেন এই দল বেছে নেওয়া হয়েছে। বলির পাঁঠা করা হয়েছে রিঙ্কুকে।’
এখানেই শেষ নয়, শ্রীকান্ত মনে করেন রিঙ্কুকে ১৫ জনের স্কোয়াডে জায়গা করে দিতে অন্য কিছুও ভাবতে পারত বোর্ড। শ্রীকান্ত বলেন, ‘এই স্কোয়াড নিয়ে আমি খুশি নই। রিঙ্কু সিংকে নিয়ে সারা বিশ্বেই আলোচনা চলছে। ও দলে থাকার মতোই পারফর্ম করেছে। রিঙ্কুকে কী ভাবে বাদ দেওয়া যায়? প্রয়োজনে অন্য কাউকে বাদ দিতে। আমার মতে, রিঙ্কুর দলে থাকা উচিত ছিল। এর জন্য যশস্বীকে বাদ দিতে হলেও সমস্য়া ছিল না।’