নাগপুর: তিন দিনও পুরো লাগলো না। নাগপুর টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ১৩২ রান ও ইনিংসে হারাল ভারত। ৪ ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। পাশাপাশি টেস্ট বিশ্ব চ্য়াম্পিয়নশিপের ফাইনালের দিকেও এক ধাপ এগিয়ে গেল ভারত। সিরিজ শুরুর আগে নানারকম প্রস্তুতি সেরেছিল অজি টিম। প্রস্তুতি ম্য়াচ না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা। পরিবর্তে একটি প্রস্তুতি শিবির করেছিল। পিচে ক্ষত তৈরি করে অশ্বিন-জাডেজার স্টাইলে বোলিং করেন, এমন স্পিনারদের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি সেরেছিলেন স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নাররা। অশ্বিনকে নিয়েই বেশি ভীতি ছিল তাঁদের। কোনও হোমওয়ার্কই কাজে দিল না। প্রথম ইনিংসে জাডেজার পাঁচ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে অশ্বিনের পাঁচ। ভালো বোলিং করেছেন অক্ষর প্য়াটেলেও। স্পিন ত্রয়ীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দারুণ একটা উদাহরণও দিলেন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
নাগপুর টেস্ট জয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষকে মাত্র ১৭৭ রানে অলআউট করার পর রোহিতের সেঞ্চুরি এবং জাডেজা-অক্ষরের জুটিতেই ৪০০ রানের বড় স্কোর গড়ে ভারত। স্পিন ত্রয়ী সম্পর্কে রোহিত বলছেন, ‘অনেকটা প্য়াট কামিন্স-হ্য়াজলউড-স্টার্ককে দলে রেখে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো। এমনটা বলছি কারণ, অক্ষর, জাডেজা এবং অশ্বিনের মতো দক্ষ বোলার, যাঁরা দীর্ঘ সময় দেশের হয়ে খেলছে, এরকম পিচে খেলে অভ্য়স্ত। এটা আমার কাছে আশির্বাদ। ওরা কখনোই হতাশ করে না।’
সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিত আরও যোগ করেন, ‘পরিস্থিতি স্পিন সহায়ক ছিল এটা ঠিক। তবে পরিস্থিতিটাকে কাজে লাগানোর দক্ষতাও থাকা চাই। শুধু আমাদের বোলাররাই সুবিধা পেয়েছে তা নয়, দু-দলের কাছেই ছিল। আমাদের বোলাররা পরিস্থিতিটা কাজে লাগাতে পেরেছে। অশ্বিনরা এমন পিচে দীর্ঘ সময় ধরে খেলছে। ওরা জানে এখানে কী করা প্রয়োজন। সঠিক ফিল্ডিং সাজানো, কোন জায়গায় বল রাখলে প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করা যাবে, উইকেট নেওয়া যাবে’। পুরনো কথাও মনে করালেন রোহিত। বলেন, ‘আমি যখন শুধু একজন প্লেয়ার ছিলাম, বিরাট ক্যাপ্টেন ছিল, একটা বিষয় লক্ষ্য করেছিলাম, উইকেট না পেলেও ক্ষতি নেই, প্রতিপক্ষর উপর চাপ রেখে যেতে হবে। প্রতিপক্ষ ভুল করবেই। বিরাটের নেতৃত্বে এই বিষয়টা আমি শিখেছি। আমিও এখন ওদের সেভাবেই ব্যবহারের চেষ্টা করছি। ‘