Sachin Tendulkar: সচিনের অভিনব উদ্যোগ

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Nov 04, 2021 | 8:37 AM

সচিন এর আগেও ওই হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে বিভিন্ন চিকিৎসার সরঞ্জাম দান করেছিলেন, যেগুলি দু'হাজারেরও বেশি শিশু ও তাদের পরিবারের সাহায্য করেছে।

Sachin Tendulkar: সচিনের অভিনব উদ্যোগ
Sachin Tendulkar: সচিনের অভিনব উদ্যোগ (ছবি-টুইটার)

Follow Us

মুম্বই: মানবিকতার আরও এক বার প্রমাণ দিলেন ভারতের প্রাক্তন কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar)। অসমের (Assam) করিমগঞ্জ জেলার মাকুন্ডা ক্রিশ্চিয়ান লেপ্রসি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট এবং নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যা (neonatal intensive care) করার জন্য রেটিনাল ক্যামেরা (retinal camera) দান করলেন মাস্টার ব্লাস্টার।

অসমের ওই হাসপাতালে প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা ও মিজোরাম থেকেও গুরুতর অবস্থায় থাকা রোগীরা চিকিৎসা করাতে আসেন। সচিন তেন্ডুলকর তাঁর ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অসমের ওই হাসপাতালে রেটিনাল ক্যামেরা দান করার প্রস্তাব দিয়েছেন। যা ‘প্রি-ম্যাচিউরিটির রেটিনোপ্যাথি’ নির্ণয় করতে সাহায্য করতে পারে। প্রি-ম্যাচিউরিটির রেটিনোপ্যাথি প্রিটার্ম নবজাতকদের মধ্যে একটি প্রতিরোধযোগ্য জটিলতা যা অন্ধত্বের কারণও হতে পারে। তবে এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা করে নবজাতকদের নিবিড় পরিচর্যার জন্য প্রায় ৪৫ শতাংশ প্রি-টার্ম ডেলিভারি ও ৫০ শতাংশ প্রি-টার্ম ভর্তিতে সাহায্য করে।

বর্তমানে, রেটিনোপ্যাথি অব প্রি-ম্যাচিউরিটির স্ক্রিনিংয়ের জন্য কাছাকাছি বলতে গেলে সুবিধা শুধুমাত্র গুয়াহাটিতে পাওয়া যায়, করিমনগর থেকে যা প্রায় ৩৬০ কিলোমিটার দূরে এবং সেখানে পৌঁছতে পুরো রাত লেগে যায়। মাকুন্ডা হাসপাতালের কনসালট্যান্ট পেডিয়াট্রিশিয়ান ডঃ শাজিন এমডি, বলেন, “আমরা সচিন তেন্ডুলকর ফাউন্ডেশনের কাছে কৃতজ্ঞ। এই ডিভাইসটি দিয়ে আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসার জন্য, এটা আমাদের হাসপাতালে গ্রামীণ সম্প্রদায়ের অনেক প্রি-ম্যাচিউর শিশুর চিকিৎসা করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে।”

সচিন এর আগেও ওই হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে বিভিন্ন চিকিৎসার সরঞ্জাম দান করেছিলেন, যেগুলি দু’হাজারেরও বেশি শিশু ও তাদের পরিবারের সাহায্য করেছে। সমাজের বিভিন্ন প্রান্তিক মানুষ ও যারা অর্থনৈতিক দিক থেকে ততটা স্বচ্ছল নয় তাদের পরিবারের শিশুদের জন্য এর আগেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন লিটল মাস্টার। আবারও একবার সেই পথেই হেঁটে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শিশুদের জীবন উজ্জ্বল করার চেষ্টা করলেন।

Next Article