কলকাতা: ‘ঈশ্বর’ খোদ ভক্তের সঙ্গে দেখা করবেন, ভাবেনইনি তিনি। যখন দেখা পেলেন, চোখ ভিজে যাচ্ছে তাঁর। হারিয়ে যাচ্ছে কথা। এতটাই উদ্বেল দেখাচ্ছে তাঁকে যে, খোদ ঈশ্বরই জড়িয়ে ধরলেন। বোধহয় কানে কানে বললেন, ‘তোমার জন্যই তো এসেছি।’ এই ঘটনা সচিন তেন্ডুলকরের। এখন কাশ্মীরে রয়েছেন মাস্টারব্লাস্টার। ভূস্বর্গের বরফ দেখার পাশাপাশি কচিকাঁচাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলা, কিছুই বাদ দেননি। এমনকি, ব্যাট তৈরির কারখানাতেও গিয়েছেন। সচিনকে কাশ্মীরে একঝলক দেখার জন্য উপত্যকার সব মানুষ যেন মুখিয়ে রয়েছেন। কিন্তু সচিন ছুটে গেলেন প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার আমি হুসেইনের কাছে। কী উপহার দিলেন তাঁকে? বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টুইটার, যা এখন এক্স, তাতে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সচিন। তাতে দেখা যাচ্ছে, প্রতিবন্ধী ক্রিকেটার আমিরকে জড়িয়ে ধরেছেন মহানায়ক। তখন চোখ ছলছল করছে আমিরের। কাশ্মীরের এই ক্রিকেটার ভারতের হয়ে খেলেন। দুটো হাত নেই। পা দিয়েই করেন ব্যাট। তিনি সারা দেশের কাছে অনুপ্রেরণা। এমনকি সচিনেরও। সচিন লিখেছেন, ‘আমি সত্যিকারের হিরো। এ ভাবেই প্রেরণা দিয়ে যাও। তোমার সঙ্গে দেখা করে সত্যিই ভালো লেগেছে।’
এর পর সচিন যে মূল্যবান উপহার দেবেন তাঁকে, তা বোধহয় বুঝতে পারেননি আমির। সচিন বলেন, আমার দিকে তাকিও না। অন্য দিকে মুখ ঘোরাও। আমি এ বার কিছু করব।’ তার পর সচিন একটি ব্যাটে সই করেন। তা উপহার দেন আমিরকে। এই মুহূর্তের জন্য বোধহয় তৈরি ছিলেন না আমির। কেঁদে ফেলেন তিনি। আমির স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের সঙ্গেও দেখা করেন সচিন। ছবিও তোলেন। আমিরের কাছে এটা যে জীবনের সেরা উপহার, তাতে সন্দেহ নেই।
To Amir, the real hero. Keep inspiring!
It was a pleasure meeting you. pic.twitter.com/oouk55lDkw
— Sachin Tendulkar (@sachin_rt) February 24, 2024
৩৪ বছরের আমির ২০১৩ সাল থেকে কাশ্মীরের প্যারা ক্রিকেট খেলছেন। কাশ্মীরের ক্যাপ্টেন এখন। একটি দুর্ঘটনায় দুটো হাত হারিয়েছিলেন। তাতেও তাঁকে দমানো যায়নি। হাত না থাকায় পা দিয়েই বল আর ব্যাট করেন। কিছুদিন আগেই আমিরকে নিয়ে সচিন বলেছিলেন, ‘আমি অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে। ওর খেলা আমাকেও ছুঁয়ে গিয়েছে। খেলাটার প্রতি কতটা ভালোবাসা আর দায়ব্ধতা থাকলে তবে এটা সম্ভব হয়। আমি নিশ্চয়ই ওর সঙ্গে একদিন দেখা করব। ওর কাছ থেকে একটা জার্সি নেব।’ আমিরের সঙ্গে দেখা করার পর সচিন যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন, তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।