মেলবোর্ন: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাধারণভাবে ফিঙ্গার স্পিনারদের থেকে বেশি রিস্ট স্পিনারদের প্রাধান্য দেওয়াই দস্তুর। কিন্তু গত কয়েক বছর ফিঙ্গার স্পিনাররা আবার ফিরে এসেছেন নতুন করে। বোলিং ভ্যারিয়েশন বদলে ফেলে একদম ঝকঝকে রূপে ধরা দিচ্ছেন ফিঙ্গার স্পিনাররা। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার পিচ ফিঙ্গার স্পিনারদের উপযোগী না হলেও নজর কেড়েছেন নিউজিল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের তালিকায় রিস্ট স্পিনাররা সর্বোচ্চ স্থানে রইলেও মিচেল স্যান্টনার (Mittchel Santner) তাঁদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন। সুপার ১২ স্টেজে যে বোলাররা কমপক্ষে ১০ ওভার বল করেছেন এবং যাদের ইকোনমি রেট ৫ থেকে ৬ এর আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে, সেই তালিকাতেও রয়েছে স্যান্টনার। সেরা ১১ জনের তালিকার মধ্যে ৯ জনই রিস্ট বা মিসট্রি স্পিনার।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী স্পিনারদের মধ্যে ইকোনমি রেটে তৃতীয় ও উইকেট পাওয়ার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন স্যান্টনার। ২০১৮ সালে স্যান্টনারের সবথেকে বড় অস্ত্র ছিল তাঁর ক্যারম বল। কিন্তু বেশ কয়েক বছরে ফিঙ্গার স্পিনার হিসেবে নিজের বোলিংয়ে তিনি অনেক বৈচিত্র নিয়ে এসেছেন। কিউয়িদের সেমিফাইনালের পথ সুগম করতে স্যান্টনার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এখন অবধি ১৬ ওভার বল করে ১০৩ রানের বিনিময়ে ৮টি উইকেট তুলে নিয়েছেন স্যান্টনার। স্যান্টনারের আউট করা ব্যাটারদের ৭ জনই টপ ওর্ডারের ব্যাটসম্যান।
নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেছেন, ব্যাটাররা যখন পিচে মুভমেন্ট করে, তখন স্যান্টনারের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয় না। স্যান্টনারের বোলিং অ্যাকশনের পিছনেও রয়েছে বিশেষ গল্প। স্কুলে থাকাকালীন তাঁর পিঠে চোট লাগে। সেই কারণে স্যান্টনার বল ডেলিভারির সময় থেমে বল করেন। কোচরা তাঁকে ডান হাত তুলে বল করার কথা বললেও স্যান্টনার নিজের স্বাচ্ছন্দ অনুযায়ী বোলিং অ্যাকশন নির্ধারণ করেছেন। উল্লেখ্যে, এ বার টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আরও এক ফিঙ্গার স্পিনারের প্রতি ফ্যানদের প্রত্যাশা রয়েছে। তিনি ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন। অশ্বিনের বোলিং দক্ষতা প্রশ্নাতীত। এই বিশ্বকাপে তিনি এখনও জ্বলে উঠতে না পারলেও তাঁকে নিয়ে ক্রিকেট ফ্যানদের প্রত্যাশা কমছে না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অশ্বিন কেমন পারফর্ম করেন, সে দিকেই সকলের নজর থাকবে।