কলকাতা : হিমাচলপ্রদেশের দারুণভাবে ম্যাচে ফিরল বাংলা। সৌজন্য়ে বাঁ-হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার শাহবাজ। ব্য়াট হাতে ভরসা দিয়েছিলেন। এ বার বোলিংয়েও। প্রথম দিনের শেষে ৩১০-৯ স্কোরে ছিল বাংলার। এ দিন আর কোনও রান যোগ করতে পারেনি বাংলা। অনুষ্টুপ মজুমদার ১৫৯ রানেই ফেরেন। ৩১০ রানে বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয়। বাংলার শুরুটা যেমন হয়েছিল, তাতে এত বড় রান প্রত্যাশার বাইরে ছিল। ক্রাইসিস ম্যান অনুষ্টুপ মজুমদারের অনবদ্য ইনিংস এবং লোয়ার অর্ডারের সহযোগিতায় এত বড় রানে পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে। এরপর বোলারদের দাপটে আপাতত ম্যাচের রাশ বাংলার হাতেই। বিস্তারিত রিপোর্ট Tv9Bangla-য়।
বাংলার ৩১০ রানের জবাবে হিমাচলপ্রদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৩০ রানে। মাত্র ৩৮ রানেই প্রতিপক্ষের পাঁচ উইকেট নেয় বাংলার বোলিং আক্রমণ। ওপেনার প্রশান্ত চোপরা সর্বাধিক ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন। উল্টোদিক থেকে পরপর উইকেট নিতে থাকে বাংলা। ব্যাট হাতে ৪৯ রানের ইনিংসের পর বোলিংয়ে ৫ উইকেট শাহবাজ আহমেদের। ১৩ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন এই বাঁ হাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার। এ ছাড়া ঈশান পোড়েল, আকাশ দীপ ২টি করে উইকেট নেন। বাকি ১টি উইকেট সায়নশেখর মন্ডলের। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার শুরু কিছুটা ভালো হয়। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৩৬ রান।
দ্বিতীয় দিনের শেষে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান তুলে নিয়েছে বাংলা। ওপেনার অভিষেক দাস ৩৫ রানে ফেরেন। আর এক ওপেনার কৌশিক ঘোষ ২১ এবং তিনে নামা সুদীপ ঘরামি ৩২ রানে অপরাজিত। সব মিলিয়ে ২৬৯ রানে এগিয়ে বাংলা। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে ইডেনে প্রথম বার পাঁচ উইকেট। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়তি উচ্ছ্বাস শাহবাজের। দিনের খেলা শেষে বলেন, ‘মনোজ (তিওয়ারি) ভাইয়ের উপর কৃতজ্ঞ। আমাকে নতুন বলে বোলিং করতে দিয়েছে। সুযোগ কাজে লাগাতে পেরে ভালো লাগছে। কাল আমাদের নজর থাকবে ম্যাচ পুরোপুরি ওদের আয়ত্তের বাইরে নিয়ে যাওয়ার। এর আগে ইডেনে ২ উইকেট নিয়েছিলাম। এ বার পাঁচ উইকেট নেওয়াটা খুবই স্পেশাল।’