Shakib Al Hasan: একাধিক দুর্নীতিতে যুক্ত সাকিব? বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে নিয়ে ফাঁপরে বাংলাদেশ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অভিষেক সেনগুপ্ত

Sep 21, 2022 | 2:30 PM

সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে না? সাকিব কী এর পরেও দুদকের শুভেচ্ছাদূত থাকবেন?

Shakib Al Hasan: একাধিক দুর্নীতিতে যুক্ত সাকিব? বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে নিয়ে ফাঁপরে বাংলাদেশ
Image Credit source: Twitter

Follow Us

রাজীব খান, ঢাকা

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান (Sakib Al Hasan) বাংলাদেশ (Bangladesh Cricket) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুভেচ্ছাদূত। কিন্তু আদৌ কি তিনি শুভেচ্ছাদূত হওয়ার মতো যোগ্য? এই প্রশ্ন উঠছে প্রবল ভাবে! বিষয়টি খতিয়ে দেখছে খোদ বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন বা দুদক। জুয়া কোম্পানির সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর সাকিব আল হাসানের চুক্তি রয়েছে। বলা হচ্ছে, এর মাধ্যমে খোলাখুলি দেশের বর্তমান প্রজন্মকে জুয়ার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন ক্রিকেট আইকন। এমনই অভিযোগ নিয়ে সাকিব শুভেচ্ছাদূর আদৌও থাকবেন কি না, তাও দেখছে দুদক। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব মহম্মদ মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের শুভেচ্ছাদূত এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। এতে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে না? সাকিব কি এর পরেও দুদকের শুভেচ্ছাদূত থাকবেন? নাকি সরিয়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে? এই প্রশ্নের জবাবে কমিশনের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, “অভিযোগ এলেই তো সঙ্গে সঙ্গে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যায় না। একটু সময় দিন। বিষয়টি বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে দেখছে।” তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও মাহবুব হোসেন উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন সচিব আরও বলেন, “আপনারা জানেন যে, সাকিব আল হাসান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গে দুদকের ২০১৮ সালে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে যে চুক্তিটি হয়, সেটি ছিল বিনা পারিশ্রমিকে। চুক্তিতে ছিল, সাকিব দুদকের হয়ে তথ্যচিত্র তৈরিতে কাজ করবেন। ২০১৮ সালে যখন দুদকের ১০৬ কমপ্লেন হটলাইন চালু হয়, একটি তথ্যচিত্র করা হয়েছিল তখন। তারপর বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন আর কোনও তথ্যচিত্র বা এ ধরনের কাজ করেনি।

সম্প্রতি বেটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি, শেয়ারবাজারে কারসাজি, তাঁর বাবার নামে জালিয়াতির অভিযোগ উঠে এসেছে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে। এতে তিনি যে প্রবল চাপে পড়েছেন, সন্দেহ নেই। অনেকে এ সব কর্মকাণ্ডকে দুর্নীতি হিসেবে দেখছেন। তবে, এ সব অভিযোগের কোনও ক্ষেত্রেই সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যথাযোগ্য প্রমাণ ছাড়া সাকিবের মতো একজন জনপ্রিয় ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অন্যায় বলে মনে করে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন।

Next Article