নয়াদিল্লি: ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের ক্রাশ তিনি। ২২ গজে তাঁর ব্যাটিং নিয়ে জোর চর্চা চলে। ঠিক ততটাই আলোচনা হয় তাঁর স্টাইল নিয়েও। সৌন্দর্যের দিক থেকেই তিনি রূপোলি পর্দার অভিনেত্রীদের টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। তাঁর সঙ্গে বিরাট মিল রয়েছে কোহলির। কথা হচ্ছে মহারাষ্ট্রের সাংলি থেকে ভারতীয় টিমের নির্ভরযোগ্য ওপেনার হয়ে ওঠা স্মৃতি মান্ধানাকে (Smriti Mandhana) নিয়ে। আজ টিম ইন্ডিয়ার তারকা ওপেনার স্মৃতি মান্ধানার ২৭তম জন্মদিন (Birthday)। সেই উপলক্ষে TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে জেনে নিন তাঁকে নিয়ে কিছু অজানা তথ্য।
স্মৃতি মান্ধানার বাবা শ্রীনিবাস মান্ধানা এবং দাদা শ্রমণ কুমার দু’জনেই জেলা স্তরে ক্রিকেট খেলেছেন। স্মৃতি মান্ধানা তাঁর দাদাকে ক্রিকেট খেলতে দেখে এই খেলাটাকে ভালোবেসে ফেলেন। স্মৃতি মান্ধানা মাত্র ৯ বছর বয়সে মহারাষ্ট্র অনূর্ধ্ব-১৫ দলে সুযোগ পান। এবং ১১ বছরে তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে জায়গা পান। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্মৃতির এক বিশেষ মিল রয়েছে। দু’জনই তাঁদের দাদার ক্রিকেট কিট নিয়ে খেলা শুরু করেন। স্মৃতির দাদা পরবর্তীতে আর ক্রিকেট খেলেননি। তিনি ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। কিন্তু স্মৃতি জাতীয় দলের হয়ে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মাত্র ১৭ বছর বয়সে স্মৃতি মান্ধানা প্রথম ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে সেঞ্চুরি করেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। আর তাও আবার রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাট দিয়ে। ২০১৩ সালে এই কীর্তির পর স্মৃতি জানান, তাঁর দাদা বেঙ্গালুরুতে ২০১২ সালে রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেখানে দ্রাবিড়কে স্মৃতির দাদা জানান তাঁর বোনের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসার ব্যাপারে। যা জানতে পেরে দ্রাবিড় তাঁর একটি প্র্যাক্টিস ব্যাট উপহার হিসেবে দেন। সেই ব্যাট দিয়ে এরপর স্মৃতি আন্তর্জাতিক ওডিআই এবং টি-২০ ক্রিকেটের অভিষেক ম্যাচে খেলেন।
২০১৩ সালে জাতীয় দলে স্মৃতির অভিষেক হওয়ার পর তাঁকে আর পিছন ফিরে তাঁকাতে হয়নি। হরমনপ্রীত কৌরের অনুপস্থিতিতে তিনি বিভিন্ন সময় ভারতীয় দলের হয়ে নেতৃত্বও দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি হ্যারির ডেপুটির দায়িত্ব পালন করছেন। এখনও অবধি জাতীয় দলের হয়ে স্মৃতি মান্ধানা ৪টি টেস্টে, ৭৮টি ওডিআই এবং ১১৯টি টি-২০ ম্যাচে খেলেছেন। এই তিন ফর্ম্যাটে যথাক্রমে স্মৃতি করেছেন ৩২৫, ৩০৮৪ ও ২৮৫৪ রান।