আমেদাবাদ : চ্যাম্পিয়ন। এক বার নয়, পাঁচ বার। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হার দিয়ে এ বারের আইপিএল অভিযান শুরু হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে পরিংসংখ্যানও ভালো ছিল না। গত আইপিএলে অভিষেক হয় গুজরাট টাইটান্সের। অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। গত মরসুমে তিন বার মুখোমুখি হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও গুজরাট টাইটান্স। তিন বারই হার চেন্নাইয়ের। এমনকি এ বারও তাদের বিরুদ্ধে হার দিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু হয়। শেষ দু ম্যাচে অবশ্য পরিসংখ্যান বদলে দিয়েছে সিএসকে। ফাইনালে সেই গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়েই পঞ্চম বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস। কিন্তু ট্রফির উচ্ছ্বাসের মাঝে লজ্জার নজিরও গড়লেন চেন্নাই সুপার কিংসের পেসার। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আইপিএলের ১৬তম সংস্করণে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। বোলিংয়ে মোহিত শর্মা। এ মরসুমে ১২ রান ডিফেন্ড করেছিলেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। ফলে তাঁর ওপর ভরসা রাখেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ওভারের প্রথম বলটিই ডট। পরবর্তী তিন বলে তিনটি সিঙ্গল। শেষ দু-বলে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০ রান। মোহিত ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ বের করে নেবেন এমনটাই যেন ভাবছিল টাইটান্স শিবির। যদিও চিত্র পাল্টে দেন স্যার রবীন্দ্র জাডেজা। পঞ্চম বলে ছয় এবং শেষ বলে বাউন্ডারি। চেন্নাই শিবির উৎসবের মেজাজে। কিন্তু বোলিংয়ের দিক থেকে খুবই কঠিন পরিস্থিতি ছিল চেন্নাইয়ের। যার ফলে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করেও ২১৪-র বিশাল স্কোর গড়েছিল টাইটান্স।
ফাইনালে ৪ ওভারের স্পেলে ৫৬ রান দেন সিএসকের পেসার তুষার দেশপান্ডে। এ মরসুমে চেন্নাই সুপার কিংসে কেরিয়ারের রূপ বদলে গিয়েছে তুষারের। বেগুনি টুপির দৌড়েও ছিলেন তুষার। কিন্তু ফাইনালের বোলিংয়ে লজ্জার নজির তৈরি হল। আইপিএলের এক মরসুমে সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার নিরিখে এত দিন শীর্ষে ছিলেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ২০২২ সালের আইপিএলে ৫৫১ রান দিয়েছিলেন প্রসিদ্ধ। ইকোনমি ৮.২৮। এ বারের আইপিএলে তাঁকে ছাপিয়ে গেলেন তুষার। ৯.৯২ ইকোনমিতে তিনি দিয়েছেন ৫৬৪ রান। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কাগিসো রাবাডা। ২০২০ আইপিএলে দিয়েছিলেন ৫৪৮ রান।